• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পরীক্ষা বর্জন, আগামীকালও রাস্তায় নামবে শিক্ষার্থীরা


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ৪, ২০১৮, ০৮:২৮ পিএম
পরীক্ষা বর্জন, আগামীকালও রাস্তায় নামবে শিক্ষার্থীরা

ঢাকা: ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তিনটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। স্কুলে বাবার অপমান সহ্য করতে না পেরে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রি অধিকারীর (১৫) আত্মহত্যার ঘটনায় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা আজকের (মঙ্গলবার) মতো তাদের কর্মসূচি শেষ করেছে। আগামীকাল বুধবার আবারও তারা স্কুলে অবস্থান নেবে।

তাদের তিন দফা কর্মসূচি হলো- ১. শিক্ষামন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তিন দিনের মধ্যে সুষ্ঠু বিচার না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ২. সব পরীক্ষা বর্জন। ৩. বুধবার সকাল ১০টায় ফের প্রধান ফটকে অবস্থান নেয়া।

মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে আজকের বিক্ষোভ ও অবস্থান শেষে তারা এই কর্মসূচি ঘোষণা করে। এদিন সকাল থেকেই বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। তারা স্কুলের সব গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

‘অরিত্রীর মতো আর কোনো শিক্ষার্থী হারাতে চাই না। অধ্যক্ষ, সহকারী প্রধান শিক্ষক ও গভর্নিং বডির সদস্যদের অপসারণ চাই, আত্মহত্যার প্ররোচণাকারীদের বিচার চাই’ ব্যানার নিয়ে বিকেল ৪টার দিকে ভেতর থেকে বেড়িয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিক্ষোভে যোগ দেন অভিভাবকরাও। সিদ্দিকী নাসির উদ্দীন এক অভিভাবক জানানন, তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছি। ১. ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রচলিত আইনে বিচার। ২. প্রিন্সিপাল, ভাইস প্রিন্সিপাল ও গভর্নিং বডির সদস্যদের অপসারণ/পদত্যাগ এবং ৩. প্রতিষ্ঠানটির জবাবদিহি নিশ্চিত করা।

উল্লেখ্য, সোমবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় অরিত্রি। মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল (ঢামেক) কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অরিত্রির আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে সোমবার (৩ ডিসেম্বর) তারা বাবা দিলীপ অধিকারী বলেছিলেন, অরিত্রির স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। রোববার (২ ডিসেম্বর) সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের ডেকে পাঠায়। সোমবার (৩ ডিসেম্বর) স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়, অরিত্রি মোবাইল ফোনে নকল করছিল, তাই তাকে বহিষ্কারের (টিসি) সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ আমার মেয়ের সামনে আমাকে অনেক অপমান করে। এই অপমান এবং পরীক্ষা আর দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় অরিত্রি।

এদিকে এই ঘটনার পর মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) শিক্ষামন্ত্রী ভিকারুননিসা স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!