• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তানে শিশু জয়নবের ধর্ষক-খুনির ফাঁসি


আন্তর্জাতিক ডেস্ক অক্টোবর ১৭, ২০১৮, ১১:৫৬ এএম
পাকিস্তানে শিশু জয়নবের ধর্ষক-খুনির ফাঁসি

ঢাকা: পাকিস্তানে ছয় বছরের শিশু জয়নব আনসারির ধর্ষক ও হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। বুধবার (১৭ অক্টোবর) সকালে লাহোরের কট লাখপাট জেলে ধর্ষক-খুনি ইমরান আলীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দণ্ড কার্যকর করা হয়।

এসময় জয়নবের বাবা ও অন্য স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে। বিবিসি।

গত জানুয়ারি মাসে একটি আবর্জনার স্তুপ থেকে জয়নবের মরদেহ পাওয়ার পর ইমারানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফাসির পর জয়নবের বাবা আমিন আনসারি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আমি নিজের চোখে তার ভয়ঙ্কর পরিণতি দেখলাম।”

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “তারা তাকে (ইমরান) ফাঁসিকাষ্ঠে ফেলে দিলো এবং আধা ঘণ্টা তার দেহ ঝুলিয়ে রাখলো।”

জয়নব এখন বেঁচে থাকলে বয়স সাত বছর দুই মাস হতো- এ কথা উল্লেখ করে আমিন আনসারি আক্ষেপ করে বলেন, “কর্তৃপক্ষ ফাঁসি টেলিভিশনে দেখায় নি।”

ইমরান আলী প্রকাশ্য ফাঁসির জন্য আপিল করলে সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দেন।

চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি শিশু জয়নবকে অপহরণ, ধর্ষণসহ খুনের দায়ে অভিযুক্ত ধর্ষক ইমরান আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেন দেশটির সন্ত্রাসবিরোধী আদালত (এটিসি)।

পাকিস্তানের বিশেষ এ আদালত ধর্ষক ইমরানের মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ডও দিয়েছেন।

একটি শিশুকে অপহরণ, ধর্ষণ, খুন ও ক্ষুদে শিশুর সঙ্গে অস্বাভাবিক চারটি অপরাধ সংঘটনের প্রমাণ পাওয়া যাওয়ায় ধর্ষক ইমরানের ওই সাজা দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আলীকে আরো সাত বছরের কারাদণ্ড ও জয়নবের দেহ অপবিত্র করার দায়ে ১০ লাখ পাকিস্তানি রুপি জরিমানা করা হয়েছে।

কট লাখপাত কারাগারে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে জয়নব ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।

এর আগে ৫৬ প্রত্যক্ষদর্শীর জবানবন্দি নেয়ার পর আদালতের বিচারকরা ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালতের কাছে শিশু জয়নব ছাড়াও কাসুরের আরো ছয় শিশুকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন ইমরান।

পাঞ্জাব প্রদেশের কাসুর এলাকার ছয় বছর বয়সী শিশু জয়নবকে ৪ জানুয়ারি অপহরণ করে ইমরান। ৯ জানুয়ারি শিশু জয়নবের মরদেহ কাসুরের একটি ময়লার ভাগাড় থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

জয়নব অপহরণের সময় তার বাবা-মা সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করতে গিয়েছিলেন। পরে মেয়ের মৃত্যুর খবরে তারা দেশে ফিরে আসেন। ধর্ষক গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের দাফন সম্পন্ন করবেন না বলে পুলিশকে আল্টিমেটাম বেঁধে দেন তারা। এর দুই সপ্তাহ পর সন্দেহভাজন ইমরানের ডিএনএর সঙ্গে ধর্ষণের আলামতের মিল পাওয়া যায়।

ইমরানকে গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয়রা ওই ধর্ষকের বাড়ি ঘেরাও করে। পরে রাতে পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এক সম্মেলনে ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান। একই সঙ্গে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ওই ধর্ষককে প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি জানান তিনি।

এসময় শাহবাজ শরীফ বলেন, জয়নবের পরিবার, পুরো দেশ ও তিনি নিজেও ধর্ষকের জনসম্মুখে ফাঁসি চান। এটাই সবার চাওয়া।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!