• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পাটসহ প্রাকৃতিক তন্তু ব্যবহারে জাতিসংঘে প্রস্তাব


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ১৩, ২০১৯, ০১:৪৬ পিএম
পাটসহ প্রাকৃতিক তন্তু ব্যবহারে জাতিসংঘে প্রস্তাব

ঢাকা : পাটের মতো প্রাকৃতিক তন্তু ব্যবহারে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব তুলেছে বাংলাদেশ।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সাধারণ পরিষদের দ্বিতীয় কমিটির প্লেনারি সভায় কৃষি উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টিবিষয়ক এজেন্ডার (এজেন্ডা-২৪) আওতায় প্রস্তাবটি  তোলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন।

তিনি বলেন, কৃত্রিম তন্তুর বিপরীতে প্রাকৃতিক তন্তু ব্যবহারের সুবিধা নিয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। এ বিষয়ে আমাদের প্রতিশ্রুতি ও সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে সাধারণ পরিষদে একটি রেজুলেশন গ্রহণ করা প্রয়োজন। এ প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বাংলাদেশ প্রাকৃতিক তন্তু যেমন পাট ও সিসালের ব্যবহার নিয়ে প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হয়।

একসময় বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য ছিল পাট। প্লাস্টিকের ব্যবহার বাড়ার পর পাটশিল্প ধুঁকতে থাকে। তবে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় প্লাস্টিক বর্জনের আওয়াজ উঠেছে। ফলে আশা করা হচ্ছে পাটের সুদিন ফেরার।

মাসুদ বলেন, প্রাকৃতিক তন্তু ব্যবহারের বৈশ্বিক সচেতনতা সৃষ্টিতে এ প্রস্তাব হতে পারে একটি কার্যকর দলিল, যা শুধু উৎপাদনকারী বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্যই নয়, প্রকৃতিকে বাঁচাতে ভোক্তারাও সুযোগ পাবে।

এ প্রস্তাব টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা এবং পরিবেশ সুরক্ষায় রাষ্ট্রগুলোকে সাহায্য করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এ প্রস্তাব সমর্থন জানাতে স্থায়ী প্রতিনিধিসহ সব সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় কৃষিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সাফল্যগুলোও তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের সাহসী ও বাস্তবভিত্তিক নীতি-কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে কৃষিখাতে আমূল পরিবর্তন এসেছে। ত্বরান্বিত হয়েছে গ্রামীণ উন্নয়ন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ক্ষমতায়িত হয়েছে, আর ক্ষুদ্র কৃষিজীবী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা স্থানীয় ভিত্তিতে খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থাপনার ফলে সুরক্ষিত রয়েছে।

বাংলাদেশ বর্তমানে শাক-সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয়, চাল উৎপাদনে চতুর্থ এবং মৎস্য উৎপাদনে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার সাধারণ পরিষদের আরেক অধিবেশনে রাষ্ট্রদূত মাসুদ শিশু অধিকার রক্ষা ও শিশু সুরক্ষার পদক্ষেপসমূহ এগিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

বলেন, শিশু অধিকার সংক্রান্ত জাতিসংঘ সনদের ৩০ বছর পূর্তি অতি সন্নিকটে। আমাদের উচিত উপলক্ষটির পূর্ণ ব্যবহার করা। শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, আসুন শিশু অধিকার সমুন্নত রাখতে সম্মিলিত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কাজ করি।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!