• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পাঠাও-উবারে প্রচুর ইনকাম, সব খোয়ালেন এই তরুণ!


নিউজ ডেস্ক এপ্রিল ১০, ২০১৯, ০২:৫৫ পিএম
পাঠাও-উবারে প্রচুর ইনকাম, সব খোয়ালেন এই তরুণ!

ঢাকা: বাংলাদেশ এখন স্টার্টআপগুলোর স্বর্ণযুগ। প্রতিদিনই নিত্য নতুন স্টার্টআপ স্টার্ট হচ্ছে। এমনই দুটি স্টার্টআপ হচ্ছে উবার আর পাঠাও। উবার-আমেরিকান কার সার্ভিস, আর পাঠাও- বাংলাদেশি মোটরবাইক সার্ভিস। এছাড়াও রাজধানী ঢাকায় রয়েছে বেশ কয়েকটি স্টার্টআপ সার্ভিস।

পাঠাও, উবার বাংলাদেশের তরুণদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। এ কারণে অনেক তরুণ অতিরিক্ত আয়ের আশায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রাজধানীতে আসছে। অবৈধভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স আর অদক্ষ হাতেই মোটরসাইকেল নিয়ে নেমে পরছেন রাজধানীর রাস্তায়। ফলাফল দুর্ঘটনা এবং সর্বশান্ত হওয়া।

এ রকমই একটি জলন্ত উদাহরণ খাইরুল ইসলাম (ছদ্মনাম)। গত বছর গ্রাম থেকে শহরে এসে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে অল্প বেতনে চাকুরি শুরু করেন। প্রতিষ্ঠানেরই অন্য কর্মচারিদের প্ররোচণায় এবং অতিরিক্ত আয়ের আশায় মোটরসাইকেল কেনার সিন্ধান্ত নেন তিনি। কিন্তু তার এই সিন্ধান্ত যে তাকে আরও ভোগাবে তা তিনি ঘুণাক্ষরেও টের পাননি।

দালালে মাধ্যমে আট হাজার টাকা দিয়ে দ্রুত ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করেন। তখনও তিনি চালাতে পারেন না মোটরসাইকেল। এরপর মোটরসাইকেল চালানো না শিখেই ধার-দেনা করে কিস্তিতে কিনে ফেলেন একটা মোটরসাইকেল। এরপর দশদিন বাইক চালানো শিখেই রাস্তায় নামেন তিনি। কিন্তু অদক্ষ হাতে রাজধানীর রাস্তা কতটা অনিরাপদ তা টের পান কিছুদিন পরেই।

দুইদিন বাধেই তিনটা অ্যাক্সিডেন্ট করেন তিনি। বাইকের সাইলেন্সার-এ পাঁ পুড়ে ফেলেন খাইরুল ইসলাম। এরপর বাইক কেনার একমাস পরে অর্ধেক দামে মোটরসাইকেল বিক্রি করে দেন তিনি।

এখন তিনি শারীরিক, মানসিক এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। খাইরুল ইসলামের মতো অনেকেই আছেন যারা রাজধানীর রাস্তায় নিজেকে ভয়ঙ্কর বিপদে রাখছেন। যেটা ওই পরিবার ও সমাজের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি। খবর-বিডি২৪লাইভ।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!