• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পানিশূন্য তিস্তা, প্রভাব পড়েছে কৃষি ও জীববৈচিত্র্যে


লালমনিরহাট প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০, ০১:০৯ পিএম
পানিশূন্য তিস্তা, প্রভাব পড়েছে কৃষি ও জীববৈচিত্র্যে

লালমনিরহাট : একসময়ের প্রমত্তা তিস্তা নদীতে পানি না থাকায় দেশি প্রজাতির মাছ, জেলে, নৌকা, নদীপাড়ের চাষাবাদসহ জীববৈচিত্র্যের ওপর প্রভাব পড়েছে।

একসময় তিস্তায় প্রচুর ভুট্টার আবাদ হলেও এখন আর হচ্ছে না। বালুচরের কয়েকটি স্থানে শুধু চিনাবাদাম, মিষ্টিকুমড়া ও তরমুজ চাষ করছেন কৃষকরা।

জানা গেছে, তিস্তা অববাহিকার রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধার ৫ হাজার ৪২৭টি গ্রামের মানুষ জীবিকার জন্য এ নদীর ওপর নির্ভরশীল। তাই তিস্তায় পানিপ্রবাহ কমে যাওয়ায় স্থানীয়দের জীবনে নেমে এসেছে চরম অনিশ্চয়তা।

তিস্তা অববাহিকার ৮ হাজার ৫১ বর্গকিলোমিটার এলাকা ভারতের পাহাড়ি অঞ্চল। সমতল ভূমিতে তিস্তা অববাহিকা ৪ হাজার ১০৮ বর্গকিলোমিটার।

জানা গেছে, চলতি  মৌসুমে শুরুতে সেচ দেওয়া হয় নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায়। পরবর্তীকালে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সেচ দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। উজানে পানিপ্রবাহ দিন দিন কমায় তিস্তা নদী শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় সম্পূরক সেচ কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এবার এসব গ্রামের কৃষকদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সেচ দিতে হবে। শুষ্ক মৌসুমে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড পরিমাণ কমেছে।

নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ধরে রাখতে তিস্তা ব্যারাজের সেচ প্রকল্পের জন্য ১০ হাজার কিউসেক পানি প্রয়োজন। কিন্তু সেচের জন্য পাওয়া যাচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ কিউসেক। মোট ৭৯ হাজার ৩৭৯ হেক্টর এলাকার প্রায় পুরোটাই সেচের আওতায় আনা সম্ভব হলেও বোরোর ক্ষেত্রে পানির দুষ্প্রাপ্যতায় সেচ-সাফল্যের চিত্র একেবারেই হতাশাজনক।

ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা ব্যারাজের পর থেকে ৯৭ কিলোমিটার বিস্তৃত তিস্তা নদীতে পানিও থাকছে না। এ কারণে তিস্তা অববাহিকার বাংলাদেশ অংশের এই বিশাল পরিমাণ নদীগর্ভ পরিণত হচ্ছে বালুচরে। তিস্তা ব্যারাজ শুকনো মৌসুমে এভাবেই নদী আধমরা হয়ে যাচ্ছে।

তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্প সস্প্রসারণ কর্মকর্তা রাফিউল বারী জানান, ২০১৯ সালে ২৯ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও পানি সরবরাহ করা হয়েছে ৪০ হাজার হেক্টরে। এর পরও ৪৩ হাজার হেক্টর জমি সেচ-সুবিধার বাইরে ছিল।

নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সেচ দিলে কৃষকদের হেক্টরপ্রতি বাড়তি খরচ হচ্ছে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা। সে হিসাবে ৪৩ হাজার হেক্টরে কৃষকদের বাড়তি খরচ পড়বে প্রায় ৬৫ কোটি টাকা।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!