• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

পাপিয়ার গোসলের নতুন ভিডিও ফাঁস


নিউজ ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০, ০২:৩৮ পিএম
পাপিয়ার গোসলের নতুন ভিডিও ফাঁস

ঢাকা : সদ্য বহিষ্কৃত নরসিংদী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউ কাণ্ডে তোলপাড় সারাদেশ। বেরিয়ে আসছে অনেক রথী-মহারথীর নাম।

আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়া ও তার স্বামী সুমনের দেয়া তথ্য, একাধিক মোবাইল ফোনের কললিস্ট, কলরেকর্ড, ভিডিও ক্লিপস ও ছবির সূত্রে শত শত নারী-পুরুষের সম্পৃক্ততার হদিস মিলেছে। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একের পর এক পাপিয়ার ছবি আর ভিডিও।

উদ্ধার করা হয়েছে শতাধিক ভিডিও ক্লিপসের একটি টিকটক ভিডিও। ওই ক্লিপসে দেখা যায়, পিস্তল হাতে পাপিয়া এক যুবককে টার্গেটে রেখে গুলি করার অভিনয় করছেন।

এ ছাড়া তার অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও রয়েছে, যা তদন্ত কর্মকর্তারা খতিয়ে দেখছেন। অভিজাত হোটেলের সুইমিংপুলে ৫-৬ যুবতী নিয়ে পাপিয়ার নাচ দেখা গেছে একটি ভিডিও ক্লিপে। এসব কিছুই খতিয়ে দেখছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।

সুইমিং পুলে পাপিয়ার গোসলের ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ভিডিওটিতে দেখা যায়, পাপিয়ার সাথে আরো পাঁচজন গোসলের সময় জলকেলি করছে। পানি ছিটিয়ে দিচ্ছে একজন অন্যজনকে। আবার, আবার একসাথে সবাই গানের তালে তালে নাচতেও দেখা যায়। বলা হচ্ছে, এটি ওয়েস্টিনের সুইমিং পুলে গোসলের সময় ভিডিওটি ধারণ করা হয়।

এক শীর্ষ নেতার ছত্রছায়ায় থেকে পদপদবি ভাগিয়ে নেন বহিষ্কৃত মহিলা যুবলীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া। সেই শীর্ষ নেতার হাত ধরেই দীর্ঘদিন ধরে দেহব্যবসা, অস্ত্র-মাদক ব্যবসা করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন তিনি।

হোটেল ওয়েস্টিনে ‘প্রেসিডেন্ট স্যুট’ ভাড়া নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ চালাতেন পাপিয়া। তার বিডি স্কট সার্ভিস লিমিটেড নামে একটি নেটওয়ার্ক আছে। তাতে বিদেশী সুন্দরী তরুণীরাও আছে বলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এদের দিয়ে মনোরঞ্জন করে মন যুগিয়েছেন ওপরওয়ালাদের। সরকারের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী মন্ত্রী, এমপি ও ব্যবসায়ীর সাথে যোগাযোগ ছিল তার।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যুব মহিলা লীগের বিতর্কিত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউ র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন। এই দম্পতি ঢাকা ও নরসিংদীতে অবৈধ কাজ-কারবারের বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন। তাদের এই অবৈধ কাজ-কারবারের পরিধি থাইল্যান্ড পর্যন্ত বিস্তৃত।

যেভাবে প্রভাবশালীদের ব্ল্যাকমেইল করতেন পাপিয়া : ককটেল পার্টির আয়োজন করে ডাকা হতো সমাজের নামি-দামি ব্যবসায়ী, আমলা, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তি ও রাজনীতিবিদের। গোপনে তা রেকর্ড করে রাখতেন যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউ। সুযোগ বুঝে সেই ভিডিও ক্লিপ দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতেন প্রভাবশালীদের। পরে তাদের কাছ থেকে বাগিয়ে নিতেন বড় বড় কাজ।

পাপিয়াকে গ্রেফতারের পর তার ব্যবহৃত মোবাইল ঘেটে বেশ কিছু ভিডিও পেয়েছে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী। ওইসব ভিডিওর কোনো কোনোটি এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও। যা দেখে সবাই ধিক দিচ্ছেন মুখোশপড়া মানুষগুলোকে। এ নিয়ে দু’দিন ধরে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

র‌্যাবের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ভিআইপিদের অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে ব্লাকমেইল করে পাপিয়া অল্প সময়েই তিনি নরসিংদী ও ঢাকায় একাধিক বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লটসহ বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থের মালিক বনে গেছেন। পাপিয়ার স্বামী সুমন স্ত্রীর ব্যবসায় সহযোগিতার পাশাপাশি থাইল্যান্ডে বারের ব্যবসা করেন।

তাদের মূল ব্যবসা ছিল উঠতি শিল্পপতি-ব্যবসায়ীসহ সমাজের উঁচুস্তরের লোকদের ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায়।

আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের সাথে যুক্ত এক কর্মকর্তা বলেছেন, নরসিংদী ও ঢাকার অনেক তরুণীকে চাকরির নামে তারকা হোটেলে ডেকে ‘পার্টি গার্ল’ হিসেবে ব্যবহার করা হতো।

ফেসবুকে প্রকাশ্যে যৌন ব্যবসার গ্রুপ ‘এসকর্ট’ থেকেও সুন্দরীদের সংগ্রহ করতেন পাপিয়া। পরে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে অনেককে শয্যাসঙ্গী করতে বাধ্য করতেন। এসব কুকর্মের বেশকিছু ভিডিও এখন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে।

কী আছে এসব ভিডিও ক্লিপে? এমন প্রশ্নে র‌্যাব কর্মকর্তা বলেছেন, পাপিয়ার মোবাইল ফোন অশ্লীল ভিডিওতে ঠাসা। অশ্লীল ভিডিও তুলে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করতেন পাপিয়া। লজ্জায় কেউ মুখ খুলত না। এসব ভিডিওতে থাকা ৭ জন উঠতি বয়সী তরুণীর সাথে র‌্যাবের কথা হয়েছে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, টিপসের বাইরে এসব তরুণীকে মাসে ৩০ হাজার টাকা করে দিতেন পাপিয়া। এসব তরুণীকে আইনের আওতায় আনা হবে কি না; এমন প্রশ্নের জবাবে র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা বলেন, তাদের অপরাধের বিষয়টিও অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এসব তরুণী যদি ব্ল্যাকমেইলের সাথে যুক্ত থাকেন তবে তাদেরও আইনের মুখোমুখি হতে হবে।

র‌্যাবের এক কর্মকর্তা জানান, রাজনীতির আড়ালে মাদক ও নারীদের নিয়ে ‘বাণিজ্য’ করতেন পাপিয়া। রাজধানীর তারকা হোটেলগুলোয় মাঝে-মধ্যেই ‘ককটেল পার্টি’র আয়োজন করতেন। এসব পার্টিতে উপস্থিত হতেন সমাজের উচ্চস্তরের লোকজন। পার্টিতে নাচাগানার তালে তালে ভিআইপিদের মদ সরবরাহ করতো উঠতি বয়সী সুন্দরী তরুণীরা।

মদের নেশায় টালমাটাল আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কৌশলে ধারণ করা হতো ওই তরুণীদের অশ্লীল ভিডিও। পরে ওইসব ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করতেন পাপিয়া। বনিবনা না হলেই ফেসবুকে ছড়িয়েও দেয়া হতো।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই পাপিয়ার কাছ থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক মাথা ঘুরিয়ে দেয়া খবর। পাপিয়ার অপকর্মের সঙ্গীদের ধরতে এরই মধ্যে একাধিক অভিযান চালানো হয়েছে।

পাপিয়ার বিপুল পরিমাণ অর্থের উৎস জানার চেষ্টা করছে র‌্যাব। র‌্যাব জানতে পেরেছে, পাপিয়া ও তার স্বামী সুমন চৌধুরী অনলাইন ক্যাসিনোর গডফাদার সেলিম প্রধানের গুলশানের বাসায় ক্যাসিনো খেলতেন। সেলিম প্রধান কারাগারে গেলেও অনেকেই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান। এদের মধ্যে পাপিয়া ও সুমন চৌধুরী অন্যতম।

জানা যায়, ২০০০ সালের দিকে নরসিংদী শহর ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মফিজুর রহমান চৌধুরী সুমনের উত্থান শুরু। শৈশব থেকেই চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ব্ল্যাকমেইল ছিল সুমনের প্রধান পেশা। চতুর সুমন রাজনীতিবিদদের সাথে সখ্য গড়ে তোলেন। ২০০১ সালে পৌরসভার কমিশনার মানিক মিয়াকে যাত্রা প্যান্ডেলে গিয়ে হত্যার পর তিনি আলোচনায় আসেন। এরই মধ্যে পাপিয়া চৌধুরীকে বিয়ে করেন তিনি। এর পর তিনি স্ত্রী পাপিয়াকে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করান।

ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন...

এ কেমন নৃশংসতা পাপিয়ার : সদ্য বহিষ্কৃত নরসিংদী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউ কাণ্ডে তোলপাড় সারাদেশ। বেরিয়ে আসছে অনেক রথী-মহারথীর নাম।

আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়া ও তার স্বামী সুমনের দেয়া তথ্য, একাধিক মোবাইল ফোনের কললিস্ট, কলরেকর্ড, ভিডিও ক্লিপস ও ছবির সূত্রে শত শত নারী-পুরুষের সম্পৃক্ততার হদিস মিলেছে। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একের পর এক পাপিয়ার ছবি আর ভিডিও।

সম্প্রতি তার এক মিনিট ১০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফাঁস হয়েছে, যেটা মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটিতে দেখা যায়, একটি কক্ষে খাটের ওপর বসে আছেন পাপিয়া। মাথা ঘাড়ের সঙ্গে চেপে মোবাইলে কারো সঙ্গে কথা বলছেন। একই সময় ডান হাত দিয়ে ব্লেড ধরে নিজের বাঁ হাতের উপর অনবরত কাটছেন তিনি। এর মাঝে ব্লেডও পরিবর্তন করেন। এসময় কাটা হাত দিয়ে রক্ত বের হতে দেখা যায়।

ভিডিওটিতে আরো দেখা যায়, একসময় মোবাইল রেখে তায়িবা নামে একজনকে ডেকে ব্যান্ডেজ দিতে বলেন। ড্রয়ারে রাখা ব্যান্ডেজের খোঁজ করতে বলেন পাপিয়া। তায়িবা তার সহযোগী। তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

এছাড়াও উদ্ধার করা হয়েছে শতাধিক ভিডিও। একটি টিকটক ভিডিওতে দেখায় দেখা যায়, পিস্তল হাতে পাপিয়া এক যুবককে টার্গেটে রেখে গুলি করার অভিনয় করছেন। এ ছাড়া তার অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও রয়েছে, যা তদন্ত কর্মকর্তারা খতিয়ে দেখছেন। অভিজাত হোটেলের সুইমিংপুলে ৫-৬ যুবতী নিয়ে পাপিয়ার নাচ দেখা গেছে একটি ভিডিও ক্লিপে। এসব কিছুই খতিয়ে দেখছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।

এক শীর্ষ নেতার ছত্রছায়ায় থেকে পদপদবি ভাগিয়ে নেন বহিষ্কৃত মহিলা যুবলীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া। সেই শীর্ষ নেতার হাত ধরেই দীর্ঘদিন ধরে দেহব্যবসা, অস্ত্র-মাদক ব্যবসা করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন তিনি। হোটেল ওয়েস্টিনে ‘প্রেসিডেন্ট স্যুট’ ভাড়া নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ চালাতেন পাপিয়া। তার বিডি স্কট সার্ভিস লিমিটেড নামে একটি নেটওয়ার্ক আছে। তাতে বিদেশী সুন্দরী তরুণীরাও আছে বলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এদের দিয়ে মনোরঞ্জন করে মন যুগিয়েছেন ওপরওয়ালাদের। সরকারের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী মন্ত্রী, এমপি ও ব্যবসায়ীর সাথে যোগাযোগ ছিল তার।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যুব মহিলা লীগের বিতর্কিত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউ র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন। এই দম্পতি ঢাকা ও নরসিংদীতে অবৈধ কাজ-কারবারের বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন। তাদের এই অবৈধ কাজ-কারবারের পরিধি থাইল্যান্ড পর্যন্ত বিস্তৃত।

প্রকাশ্যে এলো পাপিয়ার আরো ২ ভিডিও : জাল টাকা উদ্ধার, অস্ত্র ও মাদকের পৃথক তিন মামলায় গ্রেফতার নরসিংদীর জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক পাপিয়ার ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তার স্বামী মফিজুর রহমানেরও ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদুর রহমান ও মোহাম্মদ জসীম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর মধ্যে বিমানবন্দর থানার জাল টাকা উদ্ধারের মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদুর রহমান পাঁচ দিন, শেরেবাংলা নগর থানার অস্ত্র ও মাদক আইনে দায়ের করা মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীম পাঁচ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিমানবন্দর থানার মামলায় গ্রেফতার চারজন আসামি হলেও শেরেবাংলা নগর থানার মামলার আসামি কেবল পাপিয়া দম্পতি।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র আরো বলছে, রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত হোটেলে অবস্থান করে সুন্দরী যুবতীদের দিয়ে পাপিয়া পরিচালনা করতেন অবৈধ দেহব্যবসা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়া ও তার স্বামী অনেক অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। কারো মাধ্যমে কোনো কাজ হাসিল করতে চাইলে সুন্দরী যুবতীদের মাধ্যমে ওই ব্যক্তিকে পাপিয়া কৌশলে তার ডেরায় নিয়ে আসতেন।

পরে গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ক্লিপসের ভয় দেখিয়ে টার্গেট পূরণ করতেন তিনি। মানসম্মানের ভয়ে ওই ব্যক্তিরাও পাপিয়ার নির্দেশের বাইরে যাওয়ার সাহস দেখাতেন না। এরই মধ্যে পাপিয়া-সুমন দম্পতি তাদের ব্যবসার নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছেন দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও।

পিস্তল নিয়ে বানানো তার একটি টিকটক ভিডিওর পাশাপাশি আরো দুটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

প্রথম ভিডিওতে দেখা যায়, এক যুবক বসে আছেন। একটি পিস্তল তাক করা সেই যুবকের দিকে। হঠাৎ গুলির শব্দ। এরপরই দেখা মেলে পাপিয়ার। তার হাতে পিস্তল। এই ভিডিওতে ‘গোলাবি আঁখে’ শিরোনামের একটি গানে পারফর্ম করতে দেখা যায় তাকে।

অন্য দুটি ভিডিওতে তাকে আরবী গান এবং ‘হৃদয়ের রঙ’ শিরোনামের একটি বাংলা গানের সঙ্গে সুর মেলাতে ও পারফর্ম করতে দেখা যায়।

পিস্তল হাতে পাপিয়ার ভিডিও ভাইরাল : জাল টাকা উদ্ধার, অস্ত্র ও মাদকের পৃথক তিন মামলায় গ্রেফতার নরসিংদীর জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক পাপিয়ার ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তার স্বামী মফিজুর রহমানেরও ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদুর রহমান ও মোহাম্মদ জসীম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর মধ্যে বিমানবন্দর থানার জাল টাকা উদ্ধারের মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদুর রহমান পাঁচ দিন, শেরেবাংলা নগর থানার অস্ত্র ও মাদক আইনে দায়ের করা মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীম পাঁচ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিমানবন্দর থানার মামলায় গ্রেফতার চারজন আসামি হলেও শেরেবাংলা নগর থানার মামলার আসামি কেবল পাপিয়া দম্পতি।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র আরো বলছে, রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত হোটেলে অবস্থান করে সুন্দরী যুবতীদের দিয়ে পাপিয়া পরিচালনা করতেন অবৈধ দেহব্যবসা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়া ও তার স্বামী অনেক অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। কারো মাধ্যমে কোনো কাজ হাসিল করতে চাইলে সুন্দরী যুবতীদের মাধ্যমে ওই ব্যক্তিকে পাপিয়া কৌশলে তার ডেরায় নিয়ে আসতেন।

পরে গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ক্লিপসের ভয় দেখিয়ে টার্গেট পূরণ করতেন তিনি। মানসম্মানের ভয়ে ওই ব্যক্তিরাও পাপিয়ার নির্দেশের বাইরে যাওয়ার সাহস দেখাতেন না। এরই মধ্যে পাপিয়া-সুমন দম্পতি তাদের ব্যবসার নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছেন দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও।

উদ্ধার করা হয়েছে শতাধিক ভিডিও ক্লিপসের একটি টিকটক ভিডিও। ওই ক্লিপসে দেখা যায়, পিস্তল হাতে পাপিয়া এক যুবককে টার্গেটে রেখে গুলি করার অভিনয় করছেন। 'গোলাবি আঁখে' শিরোনামের একটি গানে পারফর্ম করতে দেখা যায় তাকে। পাপিয়া গ্রেফতার হওয়ার পর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়।

র‌্যাব-১ জানায়, এই পিস্তলের পক্ষে কোনো কাগজ নাই, কাগজ থাকলেও এটা অবৈধ হয়ে গেছে; যখনই এই নম্বর উঠিয়ে ফেলা হয়েছে। ধাতব কিছু দিয়ে নম্বরগুলো ঘষে ফেলা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!