পালানোর সময় সন্ত্রাসী ফয়েজ চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চাঁপাইনবাবগঞ্জ : অবশেষে নওগাঁয় পালানোর সময় সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের আমনুরা রেল বাইপাসে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমদ। এ সময় তার সঙ্গে থাকা তার আরেক সহযোগী তারেক আহমদকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে রুবেল হোসেন নামের এক যুবককে তুলে নিয়ে গিয়ে দুই হাতের কব্জি কাটার ঘটনায় মূল আসামী ফয়েজ চেয়ারম্যানসহ এখন পর্যন্ত ৪ জন ক্যাডারকে গ্রেফতার করা হল।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মূল আসামি উজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমদ (৪৫), সহযোগী তারেক আহমদ (৩৫), জাহাঙ্গীর আলম (৩৩) ও আলাউদ্দিন (৩০)।

এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার টি এম মোজাহিদুল ইসলাম রাতে পৌনে ৯টায় জানান, রুবেলের উপর হামলার পর থেকেই পুলিশ বিভিন্ন স্থানে চিরুনী অভিযান চালাচ্ছিল আসামীদের ধরতে। এরই এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে আসামী ফয়েজ তার সহযোগীসহ নওগাঁ পালিয়ে যাবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলার আমনুরায় পুলিশের চেক পোস্টে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

এদিকে দুই হাতের কব্জি হারানো রুবেল জানান, শিবগঞ্জের উজিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা ফয়েজ উদ্দিনের সাথে পদ্মা নদীর ফেরিঘাট নিয়ে তার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে বুধবার গভীর রাতে তাকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে গিয়ে দুই হাতের কব্জি কেটে দিয়েছে তারই অনুগত ক্যাডাররা।

এ বিষয়ে রুবেলের চাচাতো ভাই ও আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুস সালাম বলেন, বুধবার রাতে রুবেল তার দুই বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি আসছিল। এ সময় শিবগঞ্জের উজিরপুর বেড়ি বাঁধের কাছে কয়েকজন তাদের পথ রোধ করেন এবং পাশেই চেয়ারম্যান ফয়েজের চেম্বারে নিয়ে যান। তার দুই বন্ধুকে সেখানে আটকে রাখা হয়। আর রুবেলের মুখ ও চোখ গামছা দিয়ে বেঁধে পদ্মা নদীর বাঁধের নিচে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে নির্যাতন করে তার দুই হাতের কব্জি কেটে নেন চেয়ারম্যানের লোকজন। পরে রাত ১টার দিকে খবর পেয়ে স্বজনরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহি মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আব্দুস সালাম আরো জানান, নিউ পদ্মা ফেরি ঘাট নিয়ে চেয়ারম্যান ফয়েজের সঙ্গে রুবেল ও তার পরিবারের বিরোধ রয়েছে।

উল্লেখ্য, শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা গ্রামের খোদা বক্সের ছেলে দুই কব্জি হারানো রুবেল হোসেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩১ নং ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।

সোনালীনিউজ/এএস