• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজার কেলেঙ্কারি : আটজনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ


আদালত প্রতিবেদক এপ্রিল ৪, ২০১৮, ০৬:৫৯ পিএম
পুঁজিবাজার কেলেঙ্কারি : আটজনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

ঢাকা : ১৯৯৬ সালের আলোচিত পুঁজিবাজার কেলেঙ্কারির দুই মামলায় আটজনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদেশের অনুলিপি পাওয়ার এক মাসের মধ্যে তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। এদের মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) একজন পরিচালক, একজন সাবেক সভাপতি এবং ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতিও রয়েছেন।

মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) বিচারপতি মো. রইস উদ্দিনের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। দুই কোম্পানি ও আট আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে এই আদেশ দিয়েছেন আদালত। আত্মসমর্পণের পর আসামিরা জামিন চাইলে তা বিবেচনা করতে বলেছেন হাইকোর্ট। আদালতে সরকারপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিউল বশর ভাণ্ডারী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল স্বপন কুমার দাস ও সৈয়দা সাবিনা আহমদ মলি। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের পক্ষে ছিলেন এ এম মাসুম।

এক মামলায় এইচএমএমএস ফাইন্যান্সিয়াল কনসালট্যান্সি অ্যান্ড সিকিউরিটিজ এবং অপর আসামিরা হলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক চেয়ারম্যান হেমায়েত উদ্দিন আহমেদ, ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেক, ডিএসইর সদস্য সৈয়দ মাহবুব মুর্শেদ, ডিএসইর বর্তমান পরিচালক শরিফ আতাউর রহমান এবং ২০০২ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ডিএসইর সভাপতির দায়িত্ব পালন করা আহমেদ ইকবাল হাসান। অন্য মামলায় সিকিউরিটিজ কনসালট্যান্টস লিমিটেড এবং এম জে আজম চৌধুরী, শহীদুল­াহ ও প্রফেসর মাহবুব আহমেদকে আসামি করা হয়।

পুঁজিবাজারের মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গঠিত ট্রাইব্যুনালের বিচারক আকবর আলী শেখ গত ১ ফেব্রুয়ারি দুই কোম্পানি ও আট আসামিকে খালাস দেন। গত ২৫ মার্চ ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে আদালত তা শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিউল বশর ভাণ্ডারী বলেন, ‘নথি ও সাক্ষ্য-প্রমাণ যথাযথ বিচার-বিশ্লেষণ করে রায় দেননি ট্রাইব্যুনাল। তাই সংক্ষুব্ধ হয়ে রায় বাতিল চেয়ে আপিল করে বিএসইসি।’

১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দাম বাড়িয়ে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ১৫টি প্রতিষ্ঠান ও ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে বিএসইসি। ওই বছরই এ ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরের বছরের ২৭ মার্চ তদন্ত কমিটি একটি প্রতিবেদন দাখিল করে।

এতে বলা হয়, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অধ্যাদেশ ১৯৬৯-এর ১৭ ধারা অনুযায়ী পুঁজিবাজারে কিছু বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ঘটেছে, যা অধ্যাদেশের ২৪ ধারা মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উপরিউক্ত দুটি সিকিউরিটিজ কোম্পানি ও তাদের পরিচালকদের বিরুদ্ধে ১৯৯৭ সালে মতিঝিল থানায় দুটি মামলা হয়। ১৯৯৯ সালে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!