• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুরুষদের নজর এড়াতে স্তনের ওপর গরম ছ্যাঁকা!


নিউজ ডেস্ক জানুয়ারি ২৮, ২০১৯, ০৯:০৪ পিএম
পুরুষদের নজর এড়াতে স্তনের ওপর গরম ছ্যাঁকা!

ঢাকা : পুরুষদের যৌন লালসা থেকে মেয়েদের বাঁচাতে মায়েদের নিদান কী? ছাতি, স্তনের উপর গরম ছ্যাঁকা! সম্প্রতি দক্ষিণ লন্ডনে এমন ঘটনার প্রমাণ মিলেছে। ১৫ থেকে ২০ জন কিশোরীকে এ ভাবে ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছে, জানান এক সমাজকর্মী।

কোনও রকম চাপে পড়ে নয়, মায়েরাই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কিশোরী মেয়েদের এই নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যান। এর পোশাকি নাম চেস্ট আইরনিং।

মায়েদের ধারণা, এর ফলে তাঁর কন্যা সন্তানরা পুরুষদের যৌন নির্যাতন থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারবে। ধর্ষিত হতে হবে না তাঁদের। কিন্তু মেয়েদের এক যন্ত্রণা থেকে নিষ্কৃতি দিতে গিয়ে যে আরও যন্ত্রণা এবং আরও বেশি ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিচ্ছেন, সেটা অবশ্য জানেন না তাঁরা। কী ভাবে করা হয় এই চেস্ট আইরনিং?

মা, কাকিমা বা দিদা-ঠাকুমারা প্রথমে পাথরের টুকরো খুব গরম করে নেন (পাথরের বদলে অনেকটা তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে এমন যে কোনও ধাতব জিনিস দিয়েও এটা করা হয়ে থাকে)। তার পর সেই পাথরের টুকরোটা কিশোরীর ছাতির উপর রাখা হয়। ছাতির উপর সেই পাথরের টুকরো দিয়ে মাসাজ করা হয়। পাথরের টুকরো ঠাণ্ডা হয়ে এলে ফের সেটা গরম করে একই পদ্ধতিতে ছাতি মাসাজ করা হয়।

এ ভাবে বারবার গরম ছ্যাঁকা দিলে স্তনের কোষগুলো ভেঙে যায়। কোষের বৃদ্ধি হ্রাস পায়। এক জন কিশোরী উপর সপ্তাহে এক বার বা দু’বার বা প্রয়োজন বুঝে তিন বারও এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়।

মূলত আফ্রিকার ক্যামেরুনে এই প্রথার প্রথম প্রচলন হয়। ক্যামেরুনের পুরুষশাসিত সমাজ মনে করত যে, মেয়েদের স্তনের বৃদ্ধি শুরু হওয়া মানেই তারা যৌন সম্পর্কস্থাপনের জন্য তৈরি। জোর করে বিয়েও দিয়ে দেওয়া হত তাদের। তা রুখতেই এমন একটা উপায় মাথায় আসে মায়েদের। ক্যামেরুন থেকে ক্রমশ আফ্রিকার অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ে। আর এখন লন্ডনেও এর প্রমাণ মিলছে।

এই পদ্ধতি প্রবল যন্ত্রণাদায়ক। ফ্ল্যাট চেস্ট বানাতে গিয়ে এবং মেয়েদের যৌন নির্যাতন থেকে রুখতে গিয়ে আদপে সন্তানের ক্ষতিই করছেন মায়েরা, জানান মার্গারেট নামে এক সমাজকর্মী। কী রকম ক্ষতি? এর ফলে স্তন্যপান করানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে মেয়েরা, সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, এমনকি ক্যানসারও হতে পারে।

ব্রিটিশ সরকার সম্পূর্ণভাবে এই প্রথা নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু সমাজকর্মীদের দাবি, এখনও গোপনে প্রথার চল রয়েছে ব্রিটেনে। সূত্র : আনন্দবাজার

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!