• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পুলিশ কনস্টেবল বাবলুর ওপর নজর পড়েছে বাংলাদেশের কোচের


ক্রীড়া ডেস্ক জানুয়ারি ১২, ২০২০, ১০:৫৯ এএম
পুলিশ কনস্টেবল বাবলুর ওপর নজর পড়েছে বাংলাদেশের কোচের

ঢাকা: বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাবের উইঙ্গার ম্যাথিউজ বাবলুর ওপর নজর রেখেছেন জাতীয় দলের কোচ জেমি ডে। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের জন্য ফয়সাল হোসেনকে জাতীয় দলে ডেকে একটি চমকই উপহার দিয়েছেন জেমি ডে। ফয়সাল যখন জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন, তখন আরও এক তরুণের ওপর নজরের কথা জানালেন বাংলাদেশের ব্রিটিশ কোচ। ২১ বছর বয়সী সেই তরুণ ম্যাথিউজ বাবলু। বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাবের উইঙ্গার বাবলুর খেলায় মুগ্ধ হওয়ার কথা জানিয়েছেন জেমি।

২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টেবল পদে চাকরি করছেন বাবলু। ভালো ফুটবল খেলার সুবাদেই পুলিশে চাকরি হয় তাঁর। গত বছর পেশাদার লিগের দ্বিতীয় স্তর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে পুলিশকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফুটবলে এসেও ঝলকটা দেখিয়ে যাচ্ছেন দিনাজপুরের এই তরুণ।

ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে সাইফ স্পোর্টিংকে ৩-১ গোলে হারানোর ম্যাচে প্রথম গোলটি এসেছিল তাঁর পা থেকেই। বাবলুর গোলটি ছিল দারুণ। ডি-বক্সের ওপর থেকে বুক দিয়ে বল নামিয়ে সাইড ভলিতে জড়িয়ে দেন জালে।

শুধু গোল দিয়েই বিচার করা যাচ্ছে না এই উইঙ্গারকে; মাঠজুড়ে দৌড়াতে দেখাতে যায় তাঁকে। দ্রুতগতিতে আক্রমণে উঠে আবার দ্রুতগতিতে ট্র্যাক ব্যাক করে রক্ষণকাজে যোগ দেন। প্রয়োজনে রাইট উইং থেকে প্রান্ত বদল করেন লেফট উইংয়ে। দুই পা সমান কার্যকর হওয়ায় দুই প্রান্ত দিয়েই খেলতে স্বাবলম্বী। এসব গুণই নজরে এসেছে জেমি ডের, ‘ফাহিমকে ডেকেছি, বাবলুর ওপরও আমি নজর রেখেছি। ছেলেটা ভালো খেলছে। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। কঠোর পরিশ্রম করলে আরও উন্নতি করার সুযোগ আছে তাঁর।’

২০১৪ সালে বিজেএমসির জার্সিতে অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবল দিয়ে ঢাকার মাঠে অভিষেক হয় বাবলুর। জুনিয়র দল থেকে প্রমোশন হয়ে নাম লেখান সার্ভিসেস দলটির মূল দলে। প্রথম মৌসুমে ম্যাচ খেলার তেমন সুযোগ পাননি। দ্বিতীয় মৌসুমে অনিয়মিত হলেও মাঠে নেমেছেন। এর পরে তো পুলিশেই যোগ দেওয়া।

তাঁকে বড় সার্টিফিকেট দিয়েছেন পুলিশের সার্বিয়ান কোচ নিকোলা ভিটরোবিচ, ‘আমার কাছে বাবলু দারুণ খেলোয়াড়। পুলিশের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সেই আমার প্রথম পছন্দের খেলোয়াড়। সব ম্যাচেই খেলেছে। দ্রুতগতির সঙ্গে শারীরিকভাবে বাবলু খুবই শক্তিশালী। এ ছাড়া কৌশলগতভাবে ভালো হওয়ায় তাঁকে লেফট উইং, রাইট উইং—দুই পাশেই খেলানো যায়। কখনো খেলানো হয় স্ট্রাইকার হিসেবেও।’

সোনালীনিউজ/এইচএন

Wordbridge School
Link copied!