• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পুলিশ-পোশাক শ্রমিক মুখোমুখি, ৪ ঘণ্টা পর যানচলাচল শুরু


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯, ০১:৪০ পিএম
পুলিশ-পোশাক শ্রমিক মুখোমুখি, ৪ ঘণ্টা পর যানচলাচল শুরু

ঢাকা: তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায়  বকেয়া বেতন ভাতার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে রাখা পোশাক শ্রমিকদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। ফলে প্রায় ৪ ঘণ্টা পরে ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার নাসা মেইনল্যান্ড নামে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা মগবাজার-মহাখালী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। ফলে মহাখালী হয়ে উত্তরা থেকে মতিঝিল যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন এই পথে অফিস যাওয়া হাজারো মানুষ।

এর বিষয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান জানান, বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) নাসা মেইনল্যান্ড নামে একটি পোশাক কারখানায় দেড়শ শ্রমিককে ছাঁটাইয়ের নোটিশ দেওয়া হয়। এছাড়া শ্রমিকদের এক মাসের বেতনও বকেয়া রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার সন্ধ্যার পর কারখানাটির শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করেন। এসময় কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোঁড়েন তারা। এতে চার পুলিশ সদস্য আহত হন। তবু পুলিশ কিছু বলেনি। এক পর্যায়ে বুঝিয়ে বললে তারা রাস্তা ছেড়ে যান।

তবে হস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে শ্রমিকরা কারখানায় না গিয়ে সোজা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে নাসা মেইনল্যান্ড কারখানার মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কোনো শ্রমিককেই ছাঁটাই করা হবে না জানিয়ে সকালে তারা নতুন নোটিশ দিয়েছেন। তখন পুলিশের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু এরপরেও তারা কাজে ফিরে না গিয়ে আড়াই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন।

এ বিষয়ে আনিসুর রহমান বলেন, এই ৪ ঘণ্টায় কোনো অ্যাম্বুলেন্সও পার হতে দেননি শ্রমিকরা। এমনকি ভিকারুননিসা নূন স্কুলের টেস্ট পরীক্ষার্থীরাও শত অনুনয় করে অবরোধ পার হওয়ার সুযোগ পায়নি।

এ দিকে, অবরোধের এক পর্যায়ে নারী পুলিশরা নারী শ্রমিকদের ও পুরুষ পুলিশ সদস্যরা পুরুষ শ্রমিকদের ধাওয়া দিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেন। এসময় দুই নারী পুলিশসহ তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আহত হন।

জাহাঙ্গীর হোসেন নামে নাসা গার্মেন্টসের এক শ্রমিক বলেন, বেতনসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধা পরিশোধ না করেই আমাদের ছাঁটাই করা হয়েছে। অনেকে ছাঁটাইয়ের পর গার্মেন্টস থেকে বের না হতে চাইলে তাদের মারধর করা হচ্ছে।

এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে এবং যান চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে আজিজুল ইসলাম নামে এক শ্রমিক জানিয়েছেন, পুলিশের লাঠিচার্যে ছয় শ্রমিক আহত হয়েছেন।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!