• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
বিশ্ব বাবা দিবস

‘পৃথিবীর সকল বাবাদের প্রতি আমার ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা’


বিনোদন প্রতিবেদক জুন ১৬, ২০১৯, ০২:৩১ পিএম
‘পৃথিবীর সকল বাবাদের প্রতি আমার ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা’

মা-বাবার সঙ্গে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী

ঢাকা : ১৬ জৃন বিশ্ব বাবা দিবস। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিক থেকে বিশ্ব বাবা দিবস পালিত হয়ে আসছে। মায়েদের পাশাপাশি বাবারাও সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল— এটা বোঝানোর জন্যই দিবসটি পালিত হয়। আজ রোববার বিশ্ব বাবা দিবস। নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে দিবসটি। কিন্তু দিনটি উদযাপনের বিষয়ে কিছুটা দ্বিমত পোষণ করেছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।

 তিনি বলেন, ‘বর্তমান সময়ে বিশেষ একটি দিনকে কেন্দ্র করে বাবা কিংবা মায়ের প্রতি সন্তানেরা ভালোবাসা জানায়। এটা আমাদের সংস্কৃতি না, এটি পশ্চিমা সংস্কৃতি। আমাদের বাঙালি সংস্কৃতিতে বাবা দিবস নেই। বাবারা আমাদের অনেক কষ্ট করে মানুষ করেন। সন্তান যখন মানুষের মতো মানুষ হয় তখন প্রতিদিনই তাদের কাছে বাবা দিবস ও মা দিবস। এই দিবসটি এভাবে উদযাপন করার বিষয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিন্তা করি না। কারণ সারা বছরই আমি বাবা-মায়ের খেয়াল রাখি, যত্ন নেই। তাদের ভালো-মন্দ, প্রয়োজন সব বিষয়ে খেয়াল রাখি।’

তিনি আরো বলেন, ‘তারপরও যেহেতেু বাবা দিবস বিশেষ একটি দিন। এ উপলক্ষে বলতে চাই, পৃথিবীর সকল বাবাদের প্রতি আমার ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা। বাবা-মা সন্তান জন্ম দেন। কিন্তু সেই ঋণ শোধ করতে হয় সন্তানকে। বর্তমান সময়ের ছেলেমেয়েরা সাবালক হলেই এখন বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বছরে একদিন বাবা দিবস কিংবা মা দিবসে তাদের নিয়ে একটু রেস্টুরেন্টে যায়, খাবার খায়, একটা উপহার দেয়। এটা পুরোটাই পশ্চিমা সংস্কৃতি। আমাদের দেশে এই সংস্কৃতি এখনো গড়ে ওঠেনি।

তবু এই দিন উপলক্ষে একটি অনুরোধ- প্রকৃত অর্থে প্রত্যেক সন্তান যেন তার বাবা মায়ের খোঁজখবর রাখে। সারা বছর বাবার খবর না রেখে বাবা দিবসে বাবার খবর রাখার কোনো মানে নাই।’

চঞ্চল চৌধুরী ব্যক্তিগত জীবনে বাবা হয়েছেন। এ অনুভূতি ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘অনেক কষ্ট ও পরিশ্রম করে বাবা সন্তানদের মানুষ করেন। আমিও একজন বাবা। বাবা হওয়ার আগে বাবার অনুভূতি বুঝতে পারতাম না। আমি আমার সন্তানের সঙ্গে যতটা খোলামেলাভাবে মিশতে পারি আমার বাবা ঠিক অতটা মিশতে পারেননি। এর কারণও আছে। আসলে আমরা অনেকগুলো ভাই-বোন ছিলাম। সবার চাহিদা পূরণ করতে বাবা হিমশিম খেতেন।

যাইহোক, সর্বোপরি একটাই কথা— এই দিবসটি আমার কাছে বিশেষ কোনো তাৎপর্য বহন করে না। আমার কাছে প্রত্যেক দিনই বাবা দিবস, মা দিবস। আমরা যেন প্রত্যেক সন্তান মা-বাবার খবর রাখি। প্রতিদিন যেন তাদের সঙ্গে একবার করে হলেও হাসি মুখে কথা বলি। তাদের কারণে পৃথিবীর আলো দেখেছি। তাদের কাছে এটাই সবচেয়ে বড় ঋণ। এই ঋণ কোনোভাবেই শোধ করা যাবে না।’


সোনালীনিউজ/বিএইচ

Wordbridge School
Link copied!