• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পৃথ্বীকে ক্রিকেটের মাঝে রাখতে ব্যবসা বন্ধ করেন বাবা


ক্রীড়া ডেস্ক অক্টোবর ৫, ২০১৮, ০২:০৬ পিএম
পৃথ্বীকে ক্রিকেটের মাঝে রাখতে ব্যবসা বন্ধ করেন বাবা

ঢাকা: রাজকোটে রাজকীয় অভিষেক হয়েছে পৃথ্বী শ’র। গোটা ক্রিকেট দুনিয়া তাঁকে নিয়ে ধন্যি ধন্যি করছে। আর করবেই না বা কেন এত অল্প বয়সে ক’জনই এমন অভিষেক ঘটাতে পেরেছে। অথচ এই পৃথ্বীকে চলতে হয়েছে সংগ্রাম করে। মুম্বাইয়ের লোকাল ট্রেনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সফর করে বাবার সঙ্গে বান্দ্রায় অনুশীলনে যাওয়া ও ফেরা। ছেলেকে যাতে সারা দিন ক্রিকেটের মধ্যে রাখতে পারেন, সে জন্য নিজের ব্যবসাটাও বন্ধ করে দেন পৃথ্বীর বাবা পঙ্কজ শ। সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে কোনও রকমে দিন কাটাতে হবে জেনেও। এই কঠিন জীবন-সংগ্রাম পেরিয়ে টেস্ট ক্রিকেটার হয়ে ওঠা। আর অভিষেকেই অসাধারণ সেঞ্চুরি।     

সেই জীবনযুদ্ধেরই ফসল এই সেঞ্চুরি, যা বৃহস্পতিবার রাজকোটে পৃথ্বী শ’র ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৯৯ বলে। টেস্ট অভিষেকে এমন সেঞ্চুরি তো অনেকেই করেছেন। কিন্তু এমন সংগ্রাম পেরিয়ে এসেছেন ক’জন? বৃহস্পতিবার সেঞ্চুরির পরে যখন ১৮ বছরের পৃথ্বীকে জিজ্ঞেস করা হয়, সেঞ্চুরিতে পৌঁছানোর মুহূর্তে কার মুখ ভেসে উঠেছিল তাঁর মনে, তখন এক সেকেন্ডও না ভেবে তিনি বলেন, ‘বাবার কথাই মনে হচ্ছিল। উনি আমার জন্য সারা জীবনে প্রচুর ত্যাগ স্বীকার করেছেন। আমাকে এই জায়গায় উঠে আসতে অনেক সাহায্য করেছেন। তাই এই সেঞ্চুরিটা বাবার জন্যই। আমার প্রতিটি রান অবশ্য তার জন্য। আর দেশের জন্যও।’

জীবনযুদ্ধের দিনগুলো পেরিয়ে এসে এই চরম সাফল্যের দিনে বাবার কথা ছাড়া আর কার কথাই বা বলবেন পৃথ্বী? মা তো তাঁর চার বছর বয়সেই দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন। তার পর থেকে তাঁর বাবাই সব কিছু। পৃথ্বী এদিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বাবা যে দারুণ ক্রিকেট বোঝে, তা নয়। তবে প্রচুর ক্রিকেট দেখেন। বরাবরই আমাকে বলেন, যেখানেই খেলবি ক্রিকেটটা উপভোগ করবি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে হোক বা অনূর্ধ্ব-১৯ ভারতের হয়ে, যেখানেই প্রথম খেলতে নেমেছি, এই কথা বলেছেন তিনি। সব সময়ই উৎসাহ দিয়েছেন আমাকে।’

বাবার জোগানো এই উৎসাহ নিয়েই রঞ্জি ট্রফি ও দলীপ ট্রফি অভিষেকেও সেঞ্চুরি করেন পৃথ্বী। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখলেন টেস্ট অভিষেকেও।   

অনেকে পৃথ্বীকে ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজে খেলানোরই পরামর্শ দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত সেই সুযোগ না পাওয়ায় অবশ্য আফসোস নেই ১৮ বছর বয়সি নতুন তারকার। পৃথ্বী বলছেন, ‘কবে খেলার সুযোগ পাব, তা তো কোচ আর বিরাট ভাই ঠিক করবেন। তবে আমি ওখানে তৈরিই ছিলাম। ইংল্যান্ডে খেললেও এই নিয়মগুলো মেনেই খেলতাম। নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করতাম।’

সোনালীনিউজ/আরআইবি/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!