• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্যারোলে নয়, আন্দোলনের মাধ্যমেই হবে খালেদা জিয়ার মুক্তি


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ১৫, ২০১৯, ০৯:২৭ পিএম
প্যারোলে নয়, আন্দোলনের মাধ্যমেই হবে খালেদা জিয়ার মুক্তি

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, আইনের প্রক্রিয়ায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয়।  প্যারোলে নয়, আন্দোলনের মাধ্যমেই খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ‘বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদের’ স্মরণসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। 

এদিন সভাটি আয়োজন করে জহুর হোসেন মিলনাতায়নে ২০ দলীয় জোট। এতে সভাপতিত্ব করেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের শাখা-প্রশাখায় দুর্নীতি বিস্তার করছে। যেহেতু এই সরকার জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত নয়। তাই জনগণের কাছে তাদের কোনো জবাবদিহিতাও নেই। ফলে দেশে এমন লাগামহীন দুর্নীতি চাঁদাবাজি এবং টেন্ডারবাজি হচ্ছে। 

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, প্যারোলের মাধ্যমে নয় রাজপথের মাধ্যমে বেগম জিয়ার মুক্তি হবে এবং এই মুক্তি আমাদের আনতে হবে। এটা সময়ের ব্যাপার। আপনারা যদি মনে করেন আর কতদিন এতদিন তো আমরা সহ্য করেছি কিন্তু আমাদের আর কিছুদিন সহ্য করতে হবে। সময় আসবে যখন এদেশে একটি জালেম সরকারকে উৎখাত করার জন্য একটি জনবিস্ফোরণ ঘটবে।

এস ময় ছাত্রলীগ-যুবলীগের বিভিন্ন অপকর্মের কথা উল্লেখ করে মওদুদ বলেন, ছাত্রলীগের সভাপতি সেক্রেটারি ৮৬ কোটি টাকা চাঁদাবাজির খবর প্রকাশ হয়েছে। শামীম, খালিদ, সম্রাটরা ক্যাসিনো বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছে। শামীমের বাসা থেকে দেড়শ কোটি টাকার এফডিআর উদ্ধার করা হয়েছে, এটাতো কল্পনাও করা যায় না। অথচ আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া মাত্র দুই কোটি টাকার জন্য কারাগারে রয়েছেন। এর একটি টাকাও খরচ হয়নি।

মওদুদ বলেন, ফাহাদ জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেছে, যে ভিন্নমত প্রকাশ করা হলে এই সরকারের আমলে মৃত্যুও হতে পারে। ফাহাদ জান্নাতবাসী হবে। শুধু বুয়েট নয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ের হলেই ছাত্রলীগের টর্চার সেল রয়েছে। 

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই সরকার যত তাড়াতাড়ি বিদায় নেবে ততই আমাদের মঙ্গল। আমরা দাবি করবো অবিলম্বে এই সরকারের পদত্যাগ করা উচিত এবং একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন দেয়া উচিত। নির্বাচনের মাধ্যমে একটি প্রতিনিধিত্বশীল সরকার গঠন করা উচিত। যেখানে সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে। দেশের মানুষ সুন্দরভাবে বসবাসের জন্য খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা প্রয়োজন।

এদিকে, ২০ দলীয় জোট প্রসঙ্গে মওদুদ আহমেদ বলেন, ২০ দলীয় জোট ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। সেই সঙ্গে এই জোটকে আরও বৃহত্তর জোটে পরিণত করতে হবে।

স্মরণসভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল মিন্টু, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ার, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মওলানা আব্দুল হালিম, এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামী ঐক্যজোটের সভাপতি মওলানা আব্দুর রকিব, জাপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, ন্যাপ ভাসানীর সভাপতি অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ ইহসানুল হুদা, ডেমোক্রেটিক লীগের মহাসচিব সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, এনডিপির সভাপতি ক্বারী মো. আবু তাহের, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাপ সভাপতি এম এম শাওন সাদেকী প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!