• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক এবিএম হোসেন আর নেই


রাবি প্রতিনিধি  জুলাই ১১, ২০২০, ১১:৪৯ এএম
প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক এবিএম হোসেন আর নেই

রাজশাহী: বিদগ্ধ পণ্ডিত, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ইতিহাসবিদ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফে ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ বি এম হোসেন মারা গেছেন।

শুক্রবার (১০ জুলাই) দিবাগত রাত ২ টায় রাজধানীর স্পেশালাইজড হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মুত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর (জন্মঃ ১ সেপ্টেম্বর ১৯৩৪)।

তার মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেন রাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ।

তিনি বলেন, এবিএম স্যারের মৃত্যুতে আমরা একজন অভিভাবক হারালাম, জাতি হারালো একজন বিদগ্ধজন। আমরা তাঁর বিদোহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। 

উল্লেখ্য, এই অধ্যাপকের পুরো নাম আবুল বাশার মোশারফ হোসেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমিরেটাস ও ইসলামী শিল্পকলা বিষয়ের বিশেষজ্ঞ। তাঁর জন্ম ১৯৩৪ সালে কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলায় ধামতী গ্রামে। 

দেবীদ্বার হাই স্কুল, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক সম্মান ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের সাফল্যে তৎকালীন পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকার উচ্চশিক্ষার নিমিত্তে তাঁকে মেধাবৃত্তি দিয়ে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেরণ করেন। 

সেখানে তিনি ১৯৫৮ ও ১৯৬০ সালে ইতিহাস ও ইসলামিক আর্কিওলজিতে যথাক্রমে বিএ অনার্স ও পিএইচ.ডি লাভ করে মেধার স্বাক্ষর রাখেন। ১৯৬০ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা আরম্ভ করেন এবং ১৯৭২ সালে পূর্ণ প্রফেসর পদে উত্তীর্ণ হন। 

পরবর্তীতে তিনি বিভাগীয় প্রধান, চেয়ারম্যান, কলা অনুষদের ডীন ও প্রশাসনিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছিলেন। তিনি ২০০১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম প্রফেসর এমিরিটাস হিসাবে সম্মাননা প্রাপ্ত হন। তাঁর নিবিড় গবেষণার বিষয়বস্তু ইসলামী শিল্পকলা হলেও তিনি তাঁর মূলধারার বিষয় 

মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস থেকে সরে দাঁড়াননি। তাঁর লিখিত গবেষণা গ্রন্থের সংখ্যা অদ্যাবধি ১১। ১৯৭৭ সালে নরওয়েজিয়ান পার্লামেন্ট তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য গঠিত বোর্ডে তাদের মনোনীত সদস্য নির্বাচিত করেন। তিনি বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি ও বাংলা একাডেমির সম্মানিত আজীবন ফেলো।

সোনালীনিউজ/এসএস/এসআই

Wordbridge School
Link copied!