• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতীক ও নিবন্ধনহীন দলও ভোটে


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ১২, ২০১৮, ০৮:০৫ পিএম
প্রতীক ও নিবন্ধনহীন দলও ভোটে

ঢাকা : শর্ত পূরণ করতে না পারায় নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অযোগ্য ঘোষিত নতুন রাজনৈতিক দলগুলো এবার নানা নামে হওয়া ফ্রন্ট আর জোটের সঙ্গে মিশে ভোটের মাঠে নেমেছে।

নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং নিজস্ব প্রতীক পাওয়ার জন্য ইসির কাছে আবেদন করে যোগ্যতা হারানো ‘এক নেতার এক দল’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া এই দলগুলোর নেতারাই আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরব হয়েছেন।

রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরুর পর এখন অনিবন্ধিত কোনো দল সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না। তবে নিবন্ধিত দলের সঙ্গে জোট বেঁধে তাদের প্রতীক নিয়ে অনিবন্ধিত দলের প্রার্থীও ভোট করতে পারেন। সেক্ষেত্রে অনিবন্ধিত দলের ওই প্রার্থী কাগজে-কলমে মনোনয়নদাতা নিবন্ধিত দলের প্রার্থী হিসেবেই গণ্য হন। ফ্রন্ট আর জোটে মিশে এই সুযোগটিই নিতে চাইছে ছোট দলগুলো।

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন গত অক্টোবরে নতুন দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দেয়। এতে সাড়া দিয়ে নিবন্ধন পেতে ৭৬টি দল আবেদন করে।

এর মধ্যে প্রাথমিক তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রথম দফায় ১৯টি আবেদন বাতিল করা হয়। এরপর বাকি দলগুলোর কাছে আরো তথ্য চেয়ে চিঠি দেয় ইসি। এতে সাড়া না দেওয়ায় দ্বিতীয় দফায় আরো আটটি দলের আবেদন নাকচ করে ইসি। পরে ৪৯টি দলের তথ্য যাচাই করে মাত্র দুটি দল প্রাথমিকভাবে যোগ্য বলে বিবেচিত হয়।

এরপর দল দুটির মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম তদন্ত করে ইসি। কিন্তু আবেদনপত্রে তাদের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে বাস্তবতার মিল না পাওয়ায় ওই দল দুটিরও নিবন্ধন প্রস্তাব নাকচ করা হয়।

তথ্য মতে, নিবন্ধন অযোগ্য এসব দলের মধ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্যও ছিল।

সম্প্রতি তিনি ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে রাজনৈতিক মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। শুধু মান্নাই নন, নির্বাচনকে সামনে রেখে গঠিত গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, ডা. একিউএম বদরুদ্দোজার নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত ঐক্যজোট, সিপিবি-বাসদ নেতৃত্বাধীন বাম জোট, এমনকি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটেও অনিবন্ধিত অনেক দল ঠাঁই করে নিয়েছে।

এরই মধ্যে তারা নিজ নিজ ফ্রন্ট ও জোটের সঙ্গে নির্বাচনী আসনও ঠিক করে নিয়েছে বলে জানা গেছে। জোটে থাকা বড় দলের প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে মাঠে তৎপরতাও চালাচ্ছেন তারা।

এদিকে অনিবন্ধিত দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণ ঠেকাতে না পারলেও তাদের ওপর নজরদারি রাখতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে কোন দল কার সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করবে তা জানাতে নিবন্ধিত দলগুলোকে তিন দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইসির জনসংযোগ শাখার পরিচালক যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ১১ নভেম্বরের মধ্যে এ তথ্য ইসিকে জানানোর কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ শনিবার (১০ নভেম্বর) এ বিষয়ে বলেন, জোটগতভাবে নির্বাচন করতে হলে তিন দিনের মধ্যে ইসিকে জানাতে হবে। কোনো নিবন্ধিত দল মনোনয়ন দিলে অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলও জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। অনিবন্ধিত দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে হেলালুদ্দীন বলেন, তারা অন্য দলের প্রতীকে বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চাইলে তাদেরকে আটকানোর মতো আইন বাংলাদেশে নেই।

উল্লেখ্য, আগামী ২৩ ডিসেম্বর ভোটের দিন ধার্য করে গত ৮ নভেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে ইসি। এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৯ নভেম্বর সোমবার। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ২২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার। আর প্রতীক বরাদ্দ ৩০ নভেম্বর শুক্রবার।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!