• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রথম ওয়ানডে জিততে বাংলাদেশের চাই ১৯৬ রান


ক্রীড়া প্রতিবেদক ডিসেম্বর ৯, ২০১৮, ০৪:৫২ পিএম
প্রথম ওয়ানডে জিততে বাংলাদেশের চাই ১৯৬ রান

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে জিততে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৯৬ রান। আগে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানের বোলিং তোপে সব উইকেট হারিয়ে ১৯৫ রান করেছে ক্যারিবীয়রা।  

রোববার (৯ডিসেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন উইন্ডিজ অধিনায়করোভম্যান পাওয়েল। ব্যাট হাতে ভাল সূচনাই পেয়েছিল সফরকারি দল। সপ্তম ওভার পর্যন্ত কোনও উইকেট হারায়নি উইন্ডিজ। তবে স্বাগতিক বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং-এ শুরু থেকেই কোনঠাসা ছিলো ক্যারিবীয়রা। তাই ২শ’ রানের কোটাও স্পর্শ করতে পারেনি তারা।

পরের ওভারে বাংলাদেশ দলকে সাফল্য এনে দেন সাকিব আল হাসান।  কাইরোন পাওয়েলকে রুবেল হোসেনের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন সাকিব। এরপর আর উইকেট পাচ্ছিল না স্বাগতিকরা।

অবশেষে জ্বলে উঠেন মাশরাফি। প্রথম বাংলাদেশি হিসাবে নিজের ওয়ানডে ফরম্যাটে ২শতম আন্তর্জাতিক ম্যাচে তিন ক্যারিবীয়ান ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরত পাঠান নড়াইল এক্সপ্রেস। প্রথমেই ব্রাভোকে ফেরান মাশরাফি। দুজনের যুগলবন্দিতে এগিয়ে যেতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। খেই হারান ব্রাভো। তাকে ফেরান মাশরাফি।

তবে এতে তার যতটা কৃতিত্ব, তার চেয়ে বেশি অবদান ফিল্ডার তামিম ইকবালের। ম্যাশের অফস্টাম্পের বাইরে করা স্লো ডেলিভেরি উড়িয়ে মারেন ব্রাভো। বল উড়ে চলে যাচ্ছিল লং অফ দিয়ে। সুপারম্যানের মতো উড়ে এসে অনন্য দক্ষতায় সেই ক্যাচ লুফে নেন তামিম।

ব্রাভো ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে থেকে যান হোপ। স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছোটাতে থাকেন তিনি। তবে তা সুদৃষ্টিতে নিতে পারেননি ম্যাশ। ব্রাভোর পর হোপকে ফিরিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতিরোধ ভাঙেন তিনি। মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যাচে পরিণত করে তাকে সাজঘরের পথ ধরান বাংলাদেশ অধিনায়ক। ফেরার আগে ৫৯ বলে ৩ চারে ৪৩ রান করেন ক্যারিবীয় ওপেনার।

সেই পরিস্থিতিতে প্রতিপক্ষ শিবিরে আঘাত হানেন মিরাজ। বিস্ফোরক ব্যাটার শিমরন হেটমায়ারকে সরাসরি বোল্ড করে ফেরান তিনি। এতে চাপে পড়ে সফরকারীরা। এ চাপের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ফের আঘাত হানেন মাশরাফি। লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে রোভম্যান পাওয়েলকে ফিরিয়ে দেন তিনি। এতে বিপর্যয়ে পড়ে অতিথিরা।

এর মধ্যে মারলন স্যামুয়েলসকে ফেরান রুবেল। লিটনের হাতে ক্যাচ হওয়ার আগে ৪৮ বলে ২ চারে ২৫ রান করেন অভিজ্ঞ এ ব্যাটার। তিনি ফিরতে কোণঠাসা হয়ে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

শেষদিকে কিমো পলকে নিয়ে রোবটের মতো চেষ্টা করেন রোস্টন চেজ। বেশ ভালোই এগোচ্ছিলেন তারা। তবে বাদ সাধেন মোস্তাফিজ। মিরাজের তালুবন্দি করে চেজকে ফিরিয়ে তাদের লাগাম টেনে ধরেন তিনি। কাটার মাস্টারের বলি হওয়ার আগে ৩৮ বলে ১টি করে চার-ছক্কায় ৩২ রান করেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার।

চেজ ফিরলেও পলের লড়াই চলতেই থাকে। তার পথেও বাধা হয়ে দাঁড়ান মোস্তাফিজ। মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে এ বোলিং অলরাউন্ডারের বিষদাঁত ভেঙে দেন তিনি। খানিক বাদেই দুর্দান্ত কট অ্যান্ড বোল্ডে দেবেন্দ্র বিশুকে তুলে নেন দ্য ফিজ। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৯৫ রান করে নিক পোথাসের শিষ্যরা।

বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ১০ ওভারে ৩০ রানে ৩ উইকেট নেন। মোস্তাফিজুর রহমানও ৩ উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ-সাকিব আল হাসান-রুবেল হোসেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!