• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রধান শিক্ষককে বেঁধে নির্যাতন করলো দপ্তরি


যশোর প্রতিনিধি এপ্রিল ২৪, ২০১৯, ০৭:৩৩ পিএম
প্রধান শিক্ষককে বেঁধে নির্যাতন করলো দপ্তরি

প্রতীক ছবি

যশোর: জেলার মণিরামপুর উপজেলার খামারবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগকে কেন্দ্র করে একই বিদ্যালয়ের দপ্তরির নেতৃত্বে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে মারপিটের পর দপ্তরির বাড়িতে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠেছে। পরে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা ওই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খামারবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০১৮ সালে স্থানীয় হারুন অর রশিদ খান নামে এক যুবককে দপ্তরি হিসেবে নিয়োগ দেয় পূর্বের কমিটি। বর্তমান সরকারি বিধিমোতাবেক নিয়োগকৃত প্রার্থীর বয়স ৩৫ বছর পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে হারুনের বয়স ৩৫ বছরের বেশি হলেও পূর্বের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এবং সাবেক প্রধান শিক্ষক নিমাই চন্দ্র পাল অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে তাকে নিয়োগ দেন। নিয়োগের কিছুদিন পর কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। তাছাড়া প্রধান শিক্ষক নিমাই চন্দ্র পাল চাকরি থেকে অবসরে যান।

প্রাক্তন সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মিলন অর্থ লেনদেনের অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, বিধিমোতাবেক তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। বর্তমান প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক। ইতোমধ্যে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এমপিওভুক্তির জন্য হারুন অর রশিদের কাগজপত্রাদি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলে প্রেরণ করেন। কিন্তু হারুন অর রশিদ খানের বয়স ৩৫ বছরের বেশি হওয়ায় ওই কর্মচারীর এমপিও আবেদন বাতিল করা হয়।

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়া একই ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তবে পুলিশ এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি।

এ ব্যাপারে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে দোষারোপ করেন দপ্তরি হারুন অর রশিদ। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক জানান, গত শনিবার দুপুর ১২টার দিকে দপ্তরি হারুন অর রশিদ মোবাইল ফোনে জরুরি কাজের কথা বলে ডেকে নেন। পরে তিনি তার লোকজন মিলে মারপিটের পর তাকে বেঁধে রাখেন। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা পুলিশের সহায়তায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করেন।

থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, আসামি পক্ষও পাল্টা আরেকটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ দুটি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার জানান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে মারপিটের বিষয়টি আমি শুনেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে পরামর্শ করে এর তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!