• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রী হতে চান না মাশরাফি


ক্রীড়া ডেস্ক ডিসেম্বর ১৬, ২০১৮, ১১:১৭ এএম
প্রধানমন্ত্রী হতে চান না মাশরাফি

জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ঢাকা : নেতৃত্ব আর দেশপ্রেমের অনন্য সব নজির গড়ে কোটি মানুষের হূদয় কেড়েছেন আরো আগেই। ক্রিকেট মাঠের সীমানা পেরিয়ে এবার রাজনীতির মাঠে নেমেছেন তিনি। তবে সেখানে নেই কোনো উচ্চাভিলাষ।  

পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যেমন ক্রিকেট মাঠ থেকে উঠে এসেছেন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সর্বোচ্চ শিখরে, তেমন কোনো বাসনাও নেই মনের কোণে। খেলাধুলার উন্নতির মধ্য দিয়েই রাজনীতিতে অবদান রাখতে চান। তবে তার চাওয়া দেশের তরুণরা রাজনীতিতে আসুক। চলমান সামাজিক অবক্ষয় ঠেকাতে তরুণদের রাজনীতিতে আসার বিকল্প নেই বলেও মনে করেন তিনি। বলছিলাম বাংলাদেশে কিংবদন্তিতুল্য খেলোয়াড়, এক দিনের ক্রিকেটে জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার কথা।  

সম্প্রতি রাজনীতিতে যোগ দেওয়া এই ক্রিকেটার কথা বলেছেন ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির সঙ্গে। এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রিকেট যেখানে অত্যন্ত জনপ্রিয় সেই দক্ষিণ এশিয়ায় ক্রিকেট থেকে রাজনীতিতে আসার ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে মাশরাফির ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমটা হলো, তিনি এখনো খেলছেন জাতীয় দলের হয়ে। আবার জিততে চান ভোটের মাঠেও।

ক্রিকেটার থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়া ইমরান খানের সঙ্গে তার তুলনার প্রসঙ্গ এলে মাশরাফি বলেন, সত্যি করে বলতে গেলে ইমরান খান নিজেকে যে উচ্চতায় নিতে সমর্থ হয়েছেন, চাইলেই সবার পক্ষে তা সম্ভব নয়। সত্যিই কিছু করতে পারি কি না, তা দেখতে আমি আসলে আমার নিজ অঞ্চলের জন্যই কাজ করতে চাই। আমি প্রধানমন্ত্রী হতে চাই না।  

তবে সমাজের ক্রমাগত অধঃপতিত হওয়ার বাস্তবতায় তরুণদের রাজনীতিতে আগ্রহী হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, আমাদের সামাজিক অবক্ষয়কে খুব কাছ থেকে দেখছে তরুণ প্রজন্ম। আমার মনে হয়, তাদেরও রাজনীতিতে আসা উচিত। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভক্ত-সমর্থকদের একাংশ এখনো তার রাজনীতিতে প্রবেশে খুশি নয়।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনেকেই এ নিয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। কেউ বলেছেন, যে দেশে রাজনীতি ‘নষ্ট’দের দখলে সেখানে কেন তিনি জড়ালেন। কেউ কেউ তার আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার বিরোধিতা করেছেন। তবে মাশরাফি বলেছেন, তিনি কোনোদিন অধঃপতিত হবেন না। রাজনীতিকদের খুব ভালো ও জ্ঞানসম্পন্ন মানুষ হওয়া উচিত। তবে বলছি না আমি ইতোমধ্যেই সেই কাতারে পৌঁছে গেছি।

ভিন্নমতের প্রতি নিজের শ্রদ্ধাবোধের প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেন, আমার অবস্থান থেকে আমি স্পষ্ট করে বলতে পারি, ভিন্ন দল কিংবা ভিন্ন বিশ্বাসের, ভিন্ন রাজনৈতিক আদর্শের মানুষের প্রতি আমার কোনো অশ্রদ্ধা নেই। আমার দলের প্রতি আমার নিরঙ্কুশ সমর্থন সত্ত্বেও বিরোধীদের প্রতি আমার শতভাগ শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। বলছি এই কারণে যে, যার যার নিজের পছন্দমতো যে কাউকে সমর্থন করার অধিকার রয়েছে।  

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ক্রিকেট থেকে এরই মধ্যে অবসর নিয়েছেন মাশরাফি। ২০০৯ সালের পর আর কোনো টেস্ট ম্যাচ খেলেননি। তবে একদিনের ম্যাচে এখনো তিনিই বাংলাদেশের নেতা। আগামী বিশ্বকাপেও নেতৃত্ব দেবেন তিনি।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইশ গজ পিচে মাশরাফির জীবন দিয়ে লড়াই করার মতো দেশপ্রেমই ভোটারদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!