• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন আবরারে মা


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ১৪, ২০১৯, ০৭:৩০ পিএম
প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন আবরারে মা

ঢাকা: বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে আবরারের বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যরা গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে গেলে তাদের এসব বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘দোষী যে দলেরই হোক না কেন তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।’

প্রধানমন্ত্রী তাদের আশ্বাস দিয়ে আরো বলেন, ‘অপরাধীর রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক না কেন, সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’

গণভবন সূত্র থেকে জানা যায়, বিকাল পাঁচটায় আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ, মা রোকেয়া বেগম এবং ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ গণভবনে যান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। এসময় তাদের সান্তনা দেন শেখ হাসিনা।

আর এসময় প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন আবরারে মা। কান্নায় বসে পড়েন মা রোকেয়া বেগম। আর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ, এবং ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ। 

গেল ৭ অক্টোবর ভোরে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আবরার ফাহাদ ছিলেন বুয়েটের তড়িৎকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। 

জানা যায়, শিবির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী তাকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন, পাশাপাশি মোবাইলে তার মেসেঞ্জার ও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট যাচাই-বাছাই করেন। একপর্যায়ে তাকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। পরে আবরার নিস্তেজ হয়ে পড়লে তাকে সিঁড়িতে ফেলে রেখে যান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িত হিসেবে এরই মধ্যে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগও বুয়েট শাখার ১১ নেতাকে বহিষ্কার করেছে। 

এ ঘটনায় আবরারের বাবা ১৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন চকবাজার থানায়। আবরার হত্যার জের ধরে এরই মধ্যে বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত যে ১৯ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তাদের সাময়িক বহিষ্কারও করতে বাধ্য হয়েছে বুয়েট প্রশাসন। আবরার হত্যার বিচারের দাবিতে বুয়েট শিক্ষার্থীরা এখনো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!