• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাব্বানীর আবেগঘন স্ট্যাটাস


নিউজ ডেস্ক মার্চ ৫, ২০২০, ১১:৫২ এএম
প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাব্বানীর আবেগঘন স্ট্যাটাস

ফাইল ছবি

ঢাকা: ডাকসু জিএস ও দুর্নীতি ও চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগে অপসারিত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী জানিয়েছেন, কোন অপরাধে শাস্তি পাচ্ছেন তা তিনি জানেন না। বুধবার (৪ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা জানান।

এতে অভিযোগ খণ্ডনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার সুযোগও চেয়েছেন ডাকসু জিএস রাব্বানী। গোলাম রাব্বানীর ফেসবুক স্ট্যাটাসটি সোনালীনিউজকের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো: 

তিনি বলেন, ‘সঙ্গত কারণেই বিষয়গুলো পরিষ্কার করার প্রয়োজন অনুভব করছি...

১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সন্ধ্যায় আমাদের (আমি ও শোভন) ডাকা হলো। ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন অগ্রজ উপস্থিত ছিলেন। (বাহাউদ্দিন নাছিম ভাই ছিলেন না)। বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নেত্রী অসন্তুষ্ট, আমাদের পদত্যাগপত্র লিখতে বলা হলো।

আমি বললাম– শুধু পদ নয়, আপার জন্য জান হাজির! নেত্রী চাইলে আমরা এ মুহুর্তে পদত্যাগ করব। তবে আমরা নেত্রীর সাথে দেখা করে ২ মিনিট কথা বলার সুযোগ চাই। যে সকল অভিযোগ মিডিয়া ও বিভিন্ন মারফতে শুনছি, সেগুলো অতিরঞ্জিত; অধিকাংশই ভিত্তিহীন ও মনগড়া। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগটুকু আমাদের অবশ্যই প্রাপ্য।

তারা বললেন, তোমাদের বক্তব্য চিঠি আকারে লিখে দাও, আমরা আপাকে দেখাব। আর আপা এখন দেখা করবেন না। আগে পদত্যাগপত্র জমা দাও, আমরা কথা বলে দ্রুতই দেখা করার ব্যবস্থা করে দেব। প্রাণপ্রিয় নেত্রীর কথা বললে তো যে কোনো আদেশই শিরোধার্য!

আমরা বুকে কষ্টের পাথর বেঁধে, লিখলাম... প্রাণপ্রিয় নেত্রীর মনে কষ্ট দিয়ে ছাত্রলীগ করতে চাই না... ...এতটা দিন পেরিয়ে গেল, শ্রদ্ধেয় অগ্রজগণ আর আপার সাথে দেখা করার সুযোগ করে দিলেন না, আমরাও আনীত অভিযোগ খণ্ডনের সুযোগ পেলাম না। ফাঁসির আসামিও তো শেষ ইচ্ছে প্রকাশের সুযোগ পায়! অথচ এখনও জানতে পারলাম না, ঠিক কোন অপরাধে শাস্তি পাচ্ছি, প্রাণপ্রিয় নেত্রীর স্নেহছায়া বঞ্চিত হচ্ছি!

(ইস্যুটা যদি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় হয়, তা হলে কিছু প্রশ্নের উত্তর চাই!

–এত আলোচনা-সমালোচনা, আন্দোলন, লেখালিখি, তথ্যপ্রমাণ দাখিলের পরও কেন আজ পর্যন্ত একটা তদন্ত কমিটি হলো না?

–শিক্ষার্থীরা ভিসি ম্যামের কাছ থেকে টাকা পেয়েছে, দিন-তারিখ উল্লেখপূর্বক প্রকাশ্য স্বীকারোক্তির পরও কেন সেই টাকার উৎস খোঁজা হলো না?

–মিডিয়াতে ম্যাম বললেন, শোভন-রাব্বানীর সাথে টাকা-পয়সা নিয়ে কোনো কথা হয়নি, তা হলে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ করলেন কীসের ভিত্তিতে? শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে??

–শিক্ষার্থীর স্বীকারোক্তির জবাবে ম্যাম বলেছেন, আগস্টের ৯ ও ১০ তারিখ তার সাথে ওই শিক্ষার্থীর কোনো কথাই হয়নি। অথচ ম্যামের কললিস্ট হিস্ট্রি বলছে– দুদিনে সেই শিক্ষার্থীর সাথে ম্যামের ৬ বার কথা হয়েছে! ওই শিক্ষার্থী কিন্তু মিডিয়াতে স্পষ্ট বলেছে– কথোপকথনের রেকর্ডিং বের করলেই সব ক্লিয়ার হয়ে যাবে।

৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা, শ্রদ্ধেয় জাহাঙ্গীর কবির নানক ভাইয়ের ধানমণ্ডির অফিসে আমার আর শোভনের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় ভাই বললেন, ‘তোমাদের দোষ নেই, ভিসি ম্যাডাম যে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে কাজ দিয়েছেন, সেটি আমি জানি। যারা কাজ পেয়েছে, তার মধ্যে একজন ঠিকাদার আমার পরিচিত, সম্পর্কে ভাগ্নে হয়। ও নিজেই আমাকে টাকার বিনিময়ে কাজ পাওয়ার কথা বলেছে।’

এই তথ্যটা কি ভাই তখন আপাকে জানিয়েছিলেন? সম্ভবত না। কারণ অপরাধী জানলে আপা কাউকেই ছাড় দেন নাহ, সে যত আপন হোক না কেন, এটা আমি দৃঢ়তার সাথে বিশ্বাস করি!

সুতরাং নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত করলেই বের হয়ে আসবে, কে আসল চাঁদাবাজ??!!)

প্রাণপ্রিয় নেত্রী, আপনি আশা-ভরসা আর আস্থার শেষ ঠিকানা। একবার নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দিন, ঠিক জানতে পারবেন, আপনার শোভন-রাব্বানী এমন কোন অন্যায় করেনি, যাতে এভাবে কষ্ট পাবে, নিগৃহীত হবে!!

কোন মিডিয়া ট্রায়ালে আর কারও সাজা না হোক। সব বিষয়ে সঠিক তদন্ত হোক। আমাদের বক্তব্য শোনা হোক।

দোষী হলে গ্রেফতার করে জেলে দিন, না হলে দায়মুক্তি দিন!’

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!