• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় দাওয়াত পাননি সাবেক এমপি


ময়মনসিংহ প্রতিনিধি নভেম্বর ৩, ২০১৮, ০৯:৫৫ এএম
প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় দাওয়াত পাননি সাবেক এমপি

ময়মনসিংহ: জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় দাওয়াত পাননি জেলা আ.লীগের অনেক প্রবীন ও ত্যাগী নেতাকর্মীরা। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন, জেলা আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ত্রিশাল ৭ আসনের সাবেক এমপি আব্দুল মতিন সরকার।

তিনি বিগত আমলে টানা ১৩ বছর জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ফলে দলের ভালোবাসার টানে ত্রিশাল থেকে বিশাল মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে আসলেও মঞ্চে বা মঞ্চ সংলগ্ন স্থানে এই নেতা কোন আসন পাননি।

পরে জনসভার অদূরে আবুল মনসুর সড়কের আবাহনী ক্লাবের সামনের রাস্তার উপরে একটি চেয়ারে বসে তিনি প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা শুনেন। কিন্তু এতেও ঘটে বিড়ম্বনা। জনসভার নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে চেয়ার থেকে উঠিয়ে দিয়ে চেয়ার টেনে নিয়ে যেতে চেষ্টা করেন। তবে এ সময় এক পুলিশ সদস্য তার পরিচয় জেনে তাঁর পাশে দাঁড়ানো কর্মীদের সরিয়ে দিয়ে মতিন সরকারকে বসতে দেন।

গত শুক্রবার (২ নভেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ এলাকার আবুল মনসুর সড়কের আবহনী ক্লাবের সামনের এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাটি দৃশ্যমান হলে জনসভায় আসা উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

ঘটনাস্থলেই সালাম বিনিময়ে প্রতিবেদকের কথা হয় জেলা আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ত্রিশাল উপজেলা পরিষদের দুই বার নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান এবং সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মতিন সরকারের সঙ্গে।

এসময় তিনি জানান, ছাত্রলীগ করেছি। কলেজের ভিপি ছিলাম। দুই বার নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলাম। ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশাল আসন থেকে একবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। বিগত আমলে জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ১৩ বছর দ্বায়িত্ব পালন করেছি। বিএনপির সময় বেশ কয়েকবার জেলও খেটেছি। অসংখ্য মামলা-হামলায় নির্যাতিত হয়েছি।

তখন তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আয়োজকদের কেউ আমাকে দাওয়াত দেয়নি। জনসভার প্রস্তুতি সভাতেও জানায়নি। তবুও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দল করি। দলকে ভালোবাসি। তাই হৃদয়ের টানেই প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা শুনতে মিছিল নিয়ে জনসভায় যোগদান করেছি।

এবিষয়ে জানতে ময়মনসিংহ জেলা আ.লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!