• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই, অথচ দোভাষী!


নিউজ ডেস্ক মে ১৯, ২০১৬, ০৪:১৬ পিএম
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই, অথচ দোভাষী!

বিদেশে বাংলাদেশের পোশাকের বেশ সুনাম। তাই অনেক বিদেশিও ঢাকার বঙ্গবাজারে আসেন কমদামে পোশাক কিনতে। তাদের সহায়তা করেন একদল দোভাষী। তেমন কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই দিব্যি কয়েকটি ভাষায় কথা বলেন তারা।

কথা বলাই তাদের মূল কাজ
বঙ্গবাজারের সামনে খোলা আকাশের নীচেই সকাল থেকে বসে থাকেন তারা। সবার সতর্ক দৃষ্টি থাকে বাজারের সামনে এসে থামা গাড়িগুলোর দিকে। কোনো বিদেশি এলেই ছুটে যান সেদিকে। তারপর বিদেশি ক্রেতাদের চাহিদার বুঝে উপযুক্ত দোকানে নিয়ে যান। এমন সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে যে দোভাষীর যে ভাষায় দক্ষতা বেশি তিনি পান সেই দেশের ক্রেতা।

চারটি ভাষা জানে কলি
মেয়েটির নাম কলি৷ বঙ্গবাজারে পরিচিত নাম, কেননা, দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে বঙ্গ বাজারে দোভাষীর কাজ করছেন তিনি। ইংরেজি, রুশ, ফরাসি এবং মাতৃভাষা বাংলা মিলিয়ে মোট চারটি ভাষা জানে কলি।

অনেক সমস্যা
বঙ্গবাজার এলাকাতেই জন্ম মিরাজুল আলমের। দীর্ঘ দিন ধরে এ বাজারে দোভাষীর কাজ করছেন। বঙ্গবাজারের দোভাষীদের অনেক সমস্যা। বসার কোনো জায়গা নেই, নেই কোনো পরিচয়পত্র। পরিচয়পত্র না থাকায় বিদেশিরা অনেক সময় তাদের বিশ্বাসই করতে চায় না।

বঙ্গবাজারেও বিদেশি হত্যার প্রভাব
হোসেন চৌধুরী জানালেন, বঙ্গবাজারে এখন এমনও দিন যায় যেদিন একজন বিদেশিরও দেখা মেলে না। মালয়েশীয় ভাষা জানা হোসেন মনে করেন, সম্প্রতি দেশে জঙ্গি হামলায় কয়েকজন বিদেশি নিহত হওয়ার কারণেই বঙ্গবাজারে বিদেশিদের আগমন কমেছে।

বিদেশিদের কাছ থেকেই ভাষা শেখা
দোভাষী মো. সালাউদ্দীন ইংরেজি, আরবি এবং ফিলিপিনো ভাষায় কথা বলতে পারেন। ভাষা তিনটি তিনি কোনো প্রতিষ্ঠানে গিয়ে বা কোনো শিক্ষকের কাছ থেকে শেখেননি। সালাউদ্দীন জানালেন, ছোটবেলায় বঙ্গবাজারে বিদেশিরা এলে তাদের পেছন পেছন ঘুরতেন, ঘুরতে ঘুরতেই শিখে ফেলেছেন কাজ চালানো মতো ভাষা।

‘স্মার্ট’ দোভাষী পারভীন
সালাউদ্দীনের মতো পারভিন ইসলামও বিদেশিদের সঙ্গে বঙ্গবাজারে ঘুরে ঘুরেই একাধিক বিদেশি ভাষা শিখেছেন। পারভীন এখন আর বিদেশি ক্রেতা কখন আসবে তার অপেক্ষায় থাকেন না। মোবাইলে বিভিন্ন হোটেলের গাড়ি চালকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আগেই জেনে নেন কোন দিন কখন কোন বিদেশি আসবেন।

সবে মিলি করি কাজ
রাবেয়া খাতুন জানালেন, বঙ্গবাজারে দীর্ঘ দিন ধরে দোভাষীরা মিলেমিশে কাজ করছেন। বাজারের ব্যবসায়ীরাও তাদের সহায়তা করেন বলে জানালেন তিনি।

বিড়ম্বনা
রোকসানা চামেলী জানালেন, নারী হওয়ার বিড়ম্বনার কথা। বললেন, রাস্তার পাশে বসে বিদেশিদের জন্য অপেক্ষা করতে হয় বলে অনেক সময় পথচারীদের আজেবাজে মন্তব্য শুনতে হয় তাদের। সূত্র : ডিডব্লিউ

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আমা

Wordbridge School
Link copied!