• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিন ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ


নিউজ ডেস্ক জুলাই ৭, ২০২০, ০২:৩৫ পিএম
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিন ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ

ঢাকা: পটুয়াখালীর বাউফলে ২৩৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিঙ্গার প্রিন্ট অ্যাটেনডেন্স মেশিন ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। যথা সময়ে শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে গমন ও প্রস্থান নিশ্চিতের লক্ষ্যে সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর দেশের প্রতিটি বিদ্যালয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ফিঙ্গার প্রিন্ট অ্যাটেনডেন্স মেশিন স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়।

বাউফলের প্রতিটি বিদ্যালয়ে ওই মেশিন স্থাপন করা হয়। কিন্তু মেশিন ক্রয়ের ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে স্লিপ প্রকল্পের অর্থায়নে বাউফলের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিঙ্গার প্রিন্ট অ্যাটেনডেন্স মেশিন স্থাপন করা হয়েছে।

উপজেলার দক্ষিণ-পূর্ব মদনপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে জানা যায়, এখানে রিয়াল টাইম ব্রান্ডের যে মেশিন স্থাপন করা হয়েছে তার বাজার মূল্য ৬ হাজার টাকা। কিন্তু একটি সিন্ডিকেট কোম্পানীর এজেন্টের সঙ্গে আঁতাত করে সেই মেশিনের দাম ২৩ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করেছে।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষকদের সমন্বয় সভায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রতিটি মেশিন স্থাপনের জন্য স্লিপ প্রকল্প থেকে ২৫ হাজার টাকা হাতে রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, প্রতিটি মেশিনের দাম ৬ হাজার টাকা। অথচ ২৫ হাজার টাকা করে আদায়ে একটি সিন্ডিকেট মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। সিন্ডিকেটের সঙ্গে শিক্ষা অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা, ৪ জন শিক্ষক ও সরকারি দলের কয়েকজন নেতা জড়িত বলে জানা যায়।

অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বাউফল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রিয়াজুল হক বলেন, বাজারে বিভিন্ন দামের মেশিন রয়েছে। আমরা বেশি দাম দিয়ে ভাল মানের মেশিন ক্রয় করেছি। ইতিমধ্যে যে কয়টি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে তার বাজার মূল্যের সঙ্গে ইন্টারনেট বিল ও সফটওয়ারসহ আনুসাঙ্গিক খরচ আছে।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!