• ঢাকা
  • বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রাথমিক শিক্ষকদের টাইম স্কেল বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ১, ২০২০, ০৫:২১ পিএম
প্রাথমিক শিক্ষকদের টাইম স্কেল বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত

ঢাকা: হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের টাইম স্কেল বাতিল করে অতিরিক্ত অর্থ ফেরত নেওয়ার নির্দেশ বহাল রাখায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি একটি আদালত অবমাননার নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, উপ সচিব রওনক আফরোজা সুমা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আকরাম আল হোসেন এবং হিসাব মহানিয়ন্ত্রক মো. জহিরুল ইসলামকে এ নোটিশ পাঠানো হয়।  

বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) শিক্ষকদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সেলিনা আকতার এ নোটিশ পাঠান। 

নোটিশে আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বাস্তবায়ন চাওয়া হয়েছে। অন্যথায় আদেশ বাস্তাবায়ন না করা হলে বিবাদীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। 

১৯৭৩ সালে প্রায় ৩৭ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি শিক্ষক মহাসমাবেশে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় এক লাখ ৪ হাজার ৭৭২ জন শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণ করা হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন কর্তৃপক্ষ অধিগ্রহণকৃত প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরির শর্তাদি নির্ধারণ বিধিমালা এসআরও নং- ৩১৫ আইন ২০১৩ প্রণয়নপূর্বক গেজেট প্রকাশ করে। এরপর থেকে ওই বিধিমালার ২ (গ) নং বিধিতে ৫০ শতাংশ বেসরকারি চাকরি কার্যকর ধরে  বেতন, ভাতা, টাইম স্কেল, জ্যেষ্ঠতা, পদোন্নতিসহ সব প্রকার সুবিধাদি ভোগ করে আসছেন শিক্ষকরা।   

উপরোক্ত গেজেটের আলোকে শিক্ষকরা টাইম স্কেল পেয়ে আসছেন। এর মধ্যে চলতি বছরের ১২ আগস্ট  অর্থ মন্ত্রণালয় একটি আদেশ জারি করে। ওই আদেশের মাধ্যমে ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের ক্ষেত্রে টাইম স্কেল বাতিল করে অতিরিক্ত অর্থ ফেরত নেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।

পরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা আদেশটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ৩১ আগস্ট হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির পক্ষে সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহীর গাঙ্গোপাড়া বাগমারার প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমানসহ অনন্য শিক্ষকরা বাদী হয়ে এ রিট দায়ের করেন। গত ৩১ আগস্ট ওই রিটের শুনানি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আদেশটি ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

হাইকোর্টের আদেশের অনুলিপি গত ৮ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়সহ মামলার সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের পাঠানো হয়। কিন্তু এরপরও গত ২৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করে পুনরায় অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের ক্ষেত্রে টাইম স্কেল বাতিল করে অতিরিক্ত অর্থ ফেরত নেওয়ার জন্য হিসাব মহানিয়ন্ত্রককে নির্দেশ প্রদান করা হয়। পরে আদালতের রায় বাস্তাবয়ন চেয়ে বাদীরা সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠানো হলো।

সোনালীনিউজ/টিআই

Wordbridge School
Link copied!