• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

প্রাথমিক শিক্ষিকার সঙ্গে শিক্ষা কর্মকর্তার এ কেমন আচরণ!


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ৪, ২০২০, ১০:৪৮ এএম
প্রাথমিক শিক্ষিকার সঙ্গে শিক্ষা কর্মকর্তার এ কেমন আচরণ!

ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাকে অ'নৈ'তিক প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের  উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ আবুল খায়ের। চলতি দায়িত্বে থাকা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার এমন ধৃষ্টতায় রীতিমতো থ সেই শিক্ষিকা।

ভুক্তভোগী শিক্ষিকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে অভিযোগ দিলে সৈয়দ আবুল খায়েরকে কুলিয়ারচর উপজেলা থেকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। এদিকে তার বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে তদন্ত। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। 

জানা গেছে, কুলিয়ারচর উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাকে অ'নৈ'তিক প্রস্তাব দেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খায়ের। তিনি সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে গত দুই বছর ধরে উপজেলায় কর্মরত। চলতি দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

ভুক্তভোগী শিক্ষিকা বলেন, 'তিনি আমাকে অ'নৈ'তিক কর্মকান্ডের প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি যা করেছেন তা অসদাচারণ। তার শাস্তি দাবি করে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি৷'

কিশোরগঞ্জের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বণিক জানান, শিক্ষিকার অভিযোগটি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে।

এদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, শিক্ষিকার অভিযোগটি অধিদপ্তরে পৌঁছেছে। অভিযোগ দেখেই অভিযুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ আবুল খায়েরকে তাৎক্ষণিক বদলি করার নির্দেশ দিয়েছেন মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ। অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সৈয়দ আবুল খায়েরকে কুলিয়ারচর উপজেলা থেকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে।

গত ১০ মার্চ তাকে তাৎক্ষণিকভাবে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে বদলি করা হয়। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে অঘোষিত লকডাউন চলছে সারাদেশে। তদন্ত কর্মকর্তা তাই এখনও তদন্ত শুরু করতে পারেননি। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই সরেজমিনে অভিযোগটি তদন্ত করা হবে। 

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে বদলি করে দেয়া হয়েছে। অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই দায়ী শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোনালীনিউজ/এইচএন

Wordbridge School
Link copied!