• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রাথমিকের এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এতো অভিযোগ!


নওগাঁ প্রতিনিধি এপ্রিল ৭, ২০২০, ১২:১০ পিএম
প্রাথমিকের এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এতো অভিযোগ!

নওগাঁ: নওগাঁ সদর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের ভরট্ট নওগাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কারের জন্য দেওয়া বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানতে পেরে এলাকাবাসী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

২০১১ খ্রিষ্টাব্দে থেকে সহকারী শিক্ষক আব্দুল খালেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই তিনি বিভিন্ন অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সর্বশেষ ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিদ্যালয় সংস্কার করার জন্য দুই লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। এ বিষয়ে তিনি ম্যানেজিং কমিটির সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা না করে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করেছেন। এ কারণে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসী। অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে তারা ২৯ মার্চ ইউএনওর কাছে অভিযোগ করেছেন।

ইউপি সদস্য মো. জিল্লুর রহমান জানান, বরাদ্দ আসার পর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেককে আমরা বলেছিলাম গোরস্তানসংলগ্ন টয়লেটটি স্থানান্তর করে বাকি টাকা দিয়ে রং করতে। কিন্তু তিনি আমাদের কথা না শুনে ইচ্ছে মতো কাজ করে যাচ্ছেন।

শিকারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন চপল জানান, প্রধান শিক্ষক সরকারি টাকা নিজের ইচ্ছে মতো খরচ করছেন।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল গণি বলেন, সংস্কার কাজ কীভাবে করা হবে, কত টাকা লাগবে, এসব কিছুই আমাকে জানানো হয়নি।

অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক বলেন, অর্থ আত্মসাতের প্রশ্নই আসে না। কমিটির মাধ্যমে আলোচনা করে রেজুলেশন করে মেরামতের কাজ করা হচ্ছিল। পাঁচ দিন ধরে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসী।

নওগাঁ সদর ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সদর উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তাকে এ বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সদর উপজেলার স্থানীয় সরকার (এলজিইডি) প্রকৌশলী ইমতিয়াজ জাহিরুল হক বলেন, কাজ নিয়ে কোনো ধরনের সমস্যা নেই। বরাদ্দের টাকা কীভাবে খরচ হবে তা নিয়ে কমিটির মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। আমাদের দেখার বিষয় কাজ ঠিক হচ্ছে কিনা।

সোনালীনিউজ/টিআই

Wordbridge School
Link copied!