• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষিকাকে অপহরণ


লালমনিরহাট প্রতিনিধি মার্চ ৭, ২০২০, ০১:২৭ পিএম
প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষিকাকে অপহরণ

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের সদর উপজেলায় এক সন্তানের জননী প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষিকা রিনা বেগমকে (৩০) অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি উঠেছে একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুল আলম সবুজ পাটোয়ারীর (৪০) বিরুদ্ধে। 

বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) অপহরণের ঘটনায় শিক্ষিকার স্বামী মাহাবুব রহমান মিঠু বাদী হয়ে সদর থানায় প্রধান শিক্ষক ও অভিযুক্ত শিক্ষকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। খায়রুল একই উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের খোরাগাছ গ্রামের আবুল কাশেম পাটোয়ারীর ছেলে ও একই এলাকার উমাপতি হর নারায়ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

অভিযোগে জানা যায়, শিক্ষক খায়রুল দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল তার সহকর্মী জননী রিনা বেগমকে (৩০)। বিষয়টি রিনা বেগম তার স্বামীকে অবগত করলে ওই শিক্ষককে সতর্ক করা হয়। কিন্তু এতেও আচরণ সংশোধন না করে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাঞ্জুমা আক্তারের সহায়তায় রিনাকে ফিরনির সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ান খায়রুল। এতে রিনা অসুস্থ হয়ে গেলে তার স্বামী মাহাবুর তাকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে চিকিৎসা করান। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাঞ্জুমার কাছে বিচার প্রার্থনা করেও কোনো সুফল পাননি রিনার পরিবার।

গত বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যায় বিদ্যালয় থেকে ফিরে বাড়িতে একা ছিলেন রিনা। এসময় তার স্বামী বাজারে থাকার সুযোগে লম্পট শিক্ষক খায়রুল আলম ওই বাড়িতে গিয়ে পুনরায় চেতনানাশক ওষুধ সেবন করিয়ে তার বাড়ির স্বর্ণালঙ্কার, নগদ পৌনে চার লাখ টাকা ও শিক্ষাগত যাবতীয় কাগজপত্রসহ রিনাকে নিয়ে পালিয়ে যান। পরে বাড়ি ফিরে মাহাবুর রহমান স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারেন তার স্ত্রীকে গাড়িতে করে নিয়ে গেছেন খায়রুল আলম।

অপহরণকারী শিক্ষক খায়রুলের বাড়িতে গিয়েও রিনার সন্ধান না পেয়ে রাতেই সদর থানায় ৪ জনকে আসামি করে স্ত্রীকে অপহরণের একটি অভিযোগ দায়ের করেন মাহাবুর রহমান। ঘটনার ২ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো রিনার কোনো সন্ধান পায়নি পুলিশ। অপরদিকে অভিযুক্ত খায়রুল আলম সবুজও আত্মগোপনে রয়েছেন।

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) এরশাদুল হক জানান, অপহরণের একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত চলছে। তবে এখন পর্যন্ত উভয় শিক্ষকের সন্ধান পাওয়া যায়নি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম নবী জানান, বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে শুনেছি। তবে কেউ লিখিতভাবে অবগত করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোনালীনিউজ/টিআই

Wordbridge School
Link copied!