• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘প্রয়োজন ফুরালে ছাত্র-তরুণ-যুবকরা রাজনৈতিক দলের কাছে পঁচা ডিম’


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ২০, ২০১৮, ০৩:০০ পিএম
‘প্রয়োজন ফুরালে ছাত্র-তরুণ-যুবকরা রাজনৈতিক দলের কাছে পঁচা ডিম’

মো: মেহেদী হাসান (নোমান)

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘প্রয়োজন ফুরালে ছাত্র-তরুণ-যুবকরা রাজনৈতিক দল গুলোর কাছে পঁচা ডিম। প্রয়োজনের তাগিদে সমাদৃত এবং অসমায়ে উপেক্ষীত। দেশের রাজনীতিতে ছাত্র-তরুণ-যুবকদের এই নিয়তিই যেনো অবধারিত। যে কোন ইস্যুতে তাদেরকেই কাজে লাগানো হয় সবার আগে, অথচ তাদের চাহিদার প্রতি হাই কমান্ডের নেতিবাচক মনোবৃওিই প্রকাশ পাচ্ছে বারবার। জাতীয় নির্বাচনই হলো এমন আচারনের বহিঃপ্রকাশ!  সম্প্রতি তিনি বিএনপির মনোনয়নপত্র তুলে ইন্টারভিউ ফেস করে সোনালীনিউজকে কথাগুলো বলেছেন, (নাটোর-৪) বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর আসনের বিএনপির তরুণ মেধাবী ছাত্র নেতা। ছাত্র-তরুণ ও যুবকদের নয়নের মনি, বিএনপির সর্বকনিষ্ঠ নেতা (২৭) মো: মেহেদী হাসান (নোমান)।

তিনি বলেন, ‘নেতৃত্ব আসার আগ্রহ তরুণ সমাজের মাঝে বরাবরই বিদ্যমান কিন্তু তাদেরকে সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন যাদের হাতে তারা বিষয়গুলো নিয়ে ততটা উৎসাহী নন। আমরা চাই আসছে নির্বাচনে সেই সংস্কৃতির অবসান ঘটুক। কারন তরুণ প্রজন্মের অহংকার তারেক রহমান নিজেই তরুণদের সাহস জুগিয়েছেন, আসার সঞ্চার ঘটিয়েছেন। তিনি তরুন প্রজন্মের সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ গড়তে ছাত্র - তরুণ - যুবসমাজকে উৎসাহীত করেছেন,এগিয়ে আসতে বলেছেন। আন্দোলন বিচক্ষনতা দিয়ে আমাদের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায় - অপমামলা হতে মুক্ত করতে আহবান জানিয়েছেন।’

নোমান বলেন, ‘তারুন্যের অহংকার তারেক রহমানের আহবানে আমরা তরুণরা আশান্বিত হয়েছি। তিনি ছাত্রদের এগিয়ে আসতে বলেছেন মানে এই তরুণরা আন্দোলনে থাকবে, গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে, ভোট কেন্দ্র রক্ষা করবে সেই সাথে তারা ভোটের মাটে প্রতিযোগিতাও করবে। আর এক্ষেত্রে তারুন্যের অহংকার তিনি নিজেই তরুণদের সে সুযোগ তৈরি করে দেবেন। তবে জনসমর্থন নিয়ে ছাত্র - তরুণ - যুবকরা যখনই সেই স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে আসে তখনই যেনো বাধা হয়ে দাড়ায় লবিং স্বজনপ্রীতির সেই পুরনো ঐতিহ্য।  তাতেই যেনো প্রমানিত হয় এই ছাত্র-তরুণ-যুবকরা রাজনৈতিক দল গুলোর কাছে পঁচা ডিম। অথচ তাদের বড় কোন সফলতায় সবাই পঞ্চমুখর থাকেন, বাহাবা দেন আর এই পঁচা ডিমই তখন তাদের কাছে সোনার ডিম হয়ে ওঠে। তবে, তাদের এই কৃতিত্ব ভুলেতেও কালক্ষেপন করেন না নেতৃবৃন্দ।’ 

মেহেদী হাসান নোমান বলেন, এখন সময় এসেছে ছাত্র-তরুণ- যুবকদের এগিয়ে আসার। তারুন্য নির্ভর রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করার। যদি তা না হয়, তরুণরা এগিয়ে না আসে তবে সে সুযোগ তৈরি হতে সময় লাগবে আরও পাঁচ বছর!!পাঁচ বছর পর হয়তো অপেক্ষা করতে হবে দশ বছর!! এভাবে হয়তো যুগের পর যুগ!! আর যদি এখন আমরা কথা না বলি হয়তো ছাত্র - তরুণ - যুবকদের স্বপ্ন কখনই পূরণ হবে না!! তাই ছাত্র তরুণ যুবকদের এখনি সম্মিলিত  শ্লোগান হওয়া উচিত "আমরা তারুন্য নির্ভর বাংলাদেশ চাই।" বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে আসুক এই তরুণদের হাত ধরেই। তৈরি হোক সংসদের সাথে, এদেশের সাথে তরুণদের সেতু বন্ধন। আমরা তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশ চাই।


সোনালীনিউজ/বিএইচ

Wordbridge School
Link copied!