• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ফাস্ট বোলিংয়ের সংজ্ঞাই বদলে দেবে আর্চার মন্তব্য হোল্ডিংয়ের


ক্রীড়া ডেস্ক আগস্ট ২০, ২০১৯, ১১:৪৫ এএম
ফাস্ট বোলিংয়ের সংজ্ঞাই বদলে দেবে আর্চার মন্তব্য হোল্ডিংয়ের

ঢাকা: জোফরা আর্চারকে নিয়ে গোটা ক্রিকেটবিশ্বে আলোচনা হচ্ছে। তাঁর বাউন্সারে আঘাত পেয়ে লর্ডস টেস্টে শেষ অবধি খেলতে পারেননি স্টিভ স্মিথ। আর্চার লর্ডসে কোনও বল ১৫০ কিলোমিটার গতিতে আবার কোনও বল ১৫৪ কিলোমিটার গতিতে করেছেন। শর্ট লেগ, লেগ স্লিপ রেখে শরীর লক্ষ্য করে বোলিং করে গেছেন আর্চার। নিজের অভিষেক টেস্টে এই লাইনে এমন আগুনে গতিতে বল করেছেন আর্চার যে, অনেকের মনেই ফিরে এসেছে বডিলাইন সিরিজের স্মৃতি। ফলে ইংল্যান্ডের এই পেসারকে নিয়ে সাড়া পড়ে গিয়েছে ক্রিকেটদুনিয়ায়।

আর্চারকে দেখার পর তাঁকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি মাইকেল হোল্ডিং। তিনি মনে করেন, আধুনিক ক্রিকেটে ফাস্ট বোলিংয়ের সংজ্ঞাটাই বদলে দেবেন আর্চার,‘ গতিই পুরুষদের থেকে বাচ্চাদের আলাদা করে দেয়। ওই রকম কোনও গতির বোলার যখন উল্টো দিক থেকে বল করতে আসে, তখন পরিষ্কার হয়ে যায় কারা ওর বিপক্ষে খেলার জন্য তৈরি আর কারা নয়। এই ছেলেটা কিন্তু আধুনিক ক্রিকেটে ফাস্ট বোলিং নিয়ে ধ্যান ধারণাটাই বদলে দেবে।’

নিজের অভিষেক টেস্টে আর্চার এমন একটা ওভার করেন যার গড় গতি ছিল ৯২.৭৯। ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে এত দ্রুত গতিতে আর কোনও বোলার বল করেননি। হোল্ডিং বলেছেন, ‘ঘণ্টায় ৮৫ কিলোমিটার গতিতে বল আমরা মাঝে মাঝে দেখে থাকি। কিন্তু যখন দেখা যায় কেউ ৯৫ মাইল গতিতে বল করছে, তখনই বোঝা যায় সত্যিকারের গতি কাকে বলে। খুব কম ব্যাটসম্যানই আছে যারা এ ধরনের বোলারকে খেলার আগের দিন রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমোবে।’

শুধু হোল্ডিংই নন, আরও এক সাবেক ক্যারিবিয়ান পেসারও উচ্ছ্বসিত আর্চারকে নিয়ে। তিনি ইয়ান বিশপ। তবে তিনি ইংল্যান্ড টিম ম্যানেজমেন্টকেও সতর্ক করে দিয়েছেন আর্চারের ব্যাপারে, ‘খেলাটার স্বার্থেই আর্চারের পরিশ্রমের মাত্রার ওপরে বিশেষ নজর রাখতে হবে ইংল্যান্ড এবং জো রুটকে। ‘সোনার ডিম পাড়া হাঁসকে মেরো না’ এই কথাটা তো আমরা সবাই জানি।’

লর্ডস টেস্টে শেষ দিনে একটা সময় জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। আর্চারকে সামনে রেখে তারা এখন বাকি সিরিজে প্রত্যাবর্তনের কথা ভাবছে। দ্বিতীয় টেস্টে ম্যাচের সেরা হওয়া বেন স্টোকস স্বীকার করে নিয়েছেন, আর্চারের বোলিং ভয় ধরিয়ে দেওয়ার মতোই ছিল, ‘ভাগ্যিস আর্চার আমাদের হয়ে খেলছে, অন্য কোনও দলের হয়ে নয়। নিজেকে আবারও প্রমাণ করল ও। যদিও এটা অন্য ধরনের ফরম্যাট। লর্ডসে প্রথম ইনিংসে একটা স্পেলে আট ওভার বল করেছিল ঘণ্টায় ৯০ মাইলের ওপর গতিতে। ভয় ধরিয়ে দেওয়ার মতো বোলিং।’ স্টোকস আরও বলেন, ‘ছেলেটার প্রতিভা আছে। ও অনেক দূর যেতে পারে।’

সোনালীনিউজ/আরআইবি/এএস

Wordbridge School
Link copied!