• ঢাকা
  • বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফেডারেল রিজার্ভ ‘সাইবার লড়াইয়েই আছে’:


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ১১, ২০১৬, ০৪:৫৭ পিএম
ফেডারেল রিজার্ভ ‘সাইবার লড়াইয়েই আছে’:

অর্থনীতি ডেস্ক

সাইবার হুমকি মোকাবেলায় নিরাপত্তা জোরদারে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্ক ‘যুদ্ধাবস্থার’ মধ্যেই রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম ডুডলি। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ লোপাটের প্রেক্ষাপটে শুক্রবার তিনি এ মন্তব্য করেন। ফেব্রুয়ারির শুরুতে ভুয়া নির্দেশনা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপিন্সের রিজল কর্মাশিয়াল ব্যাংক পাঠানো হয়।

রিজল ব্যাংকের চারটি অ্যাকাউন্ট থেকে ওই অর্থ ক্যাসিনোর জুয়ার টেবিলে হাতবদল হয়ে ফিলিপিন্সের মুদ্রা ব্যবস্থায় মিশে যায় বলে স্থানীয় পত্রিকাগুলি খবর প্রকাশ করে। অর্থ লোপাটের ওই ঘটনার প্রায় দুই মাসের মাথায় ওই ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই প্রথম কোনো বক্তব্য দিলেন ব্যাংকটির প্রেসিডেন্ট। উইলিয়াম ডুডলি বলেন, “ঝুঁকি হ্রাসে এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা জানি খারাপ মানুষ যেমন আছে, তাদের মাধ্যমে আমরা ক্ষতিগ্রস্তও হতে পারি। ইতিহাসের অন্যতম বড় এই রিজার্ভ চুরির ঘটনার পর নানা তথ্য প্রকাশ পায় গণমাধ্যমে। এরই মধ্যে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে একশ কোটি ডলার সরাতে মোট ৩৫টি অনুরোধ পাঠানো হয়েছিল নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে। উইলিয়াম ডুডলি বলেন, এই বিষয়টি (রিজার্ভ চুরি) তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণের মধ্যে রয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি ইস্যুতে নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক সর্বোচ্চ মনোযোগী বলেও জানান তিনি।

হ্যাকারদের ৩৫টি ভুয়া অনুরোধের মধ্যে ৩০টি আটকে গেলেও ফিলিপিন্সের রিজল ব্যাংকের চার নির্দেশনা ছাড়া অন্য একটি নির্দেশনায় দুই কোটি ডলার চলে যায় শ্রীলঙ্কার প্যান এশিয়া ব্যাংকে, শালিকা ফাউন্ডেশন নামে একটি বেসরকারি সংস্থার অ্যাকাউন্টে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে ওই অর্থ শ্রীলঙ্কায় পৌঁছায় ডয়চে ব্যাংকের হাত ঘুরে। তাদেরই সন্দেহের কারণে শেষ পর্যন্ত শালিকার অ্যাকাউন্টের ওই অর্থ আটকে যায়। অর্থ স্থানান্তরের অনুরোধে প্রাপকের জায়গায় ‘ফাউন্ডেশন’ বানান ভুল থাকায় ডয়চে ব্যাংক বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিল। এর মাধ্যমেই বেরিয়ে আসে, অর্থ স্থানান্তরের অনুরোধটি ছিল ভুয়া। ফিলিপিন্সে যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে প্রায় অর্ধেক অর্থ এখনও ফিলিপিন্সে রয়েছে জানিয়ে তা বাংলাদেশকে ফেরত দেওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন দেশটির সিনেটর রালফ রেক্তো।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!