• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ফের দুটি আস্তানার সন্ধান, গ্রেনেড ছুঁড়ছে জঙ্গিরা


মৌলভীবাজার প্রতিনিধি মার্চ ২৯, ২০১৭, ০৯:৪১ এএম
ফের দুটি আস্তানার সন্ধান, গ্রেনেড ছুঁড়ছে জঙ্গিরা

ফাইল ছবি

মৌলভীবাজার: জেলায় দুটি পৃথক জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অভিযান চলছে। এর একটি মৌলভীবাজার পৌরসভার বড়হাট এলাকায়, অপরটি খলিলপুর ইউনিয়নের সরকার বাজারের কাছে ফতেহপুর গ্রামে। অভিযানে ফতেহপুর জঙ্গি আস্তানা থেকে ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাতেই জঙ্গি আস্তানা দুটিতে অভিযান শুরু করে পুলিশ।

জেলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঘেরাও করে রাখা দু’টি আস্তানায় একডজন জঙ্গি রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র। তাদের পাকড়াও করতে সর্বোচ্চ তৎপরতা চালাচ্ছে ঘটনাস্থলে থাকা র‌্যাব, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। অভিযানে যোগ দিতে ঢাকা থেকে রওয়ানা হয়েছে সোয়াট টিম।

আস্তানা দুটির জঙ্গিদের তৎপরতা সিলেটের আতিয়া মহলের জঙ্গিদের মতোই। এদের হাতেও অস্ত্র-বিস্ফোরক রয়েছে এবং সেই কায়দায় এখানকার জঙ্গিরা গুলি ও গ্রেনেড ছুঁড়ছে।

জঙ্গি আস্তানা দুটির কোনওটিতে সাধারণ এলাকাবাসীকে জিম্মি করতে পারেনি জঙ্গিরা। জেলা পুলিশের একজন উর্ধবতন পুলিশ কর্মকর্তা এমনটাই দাবি করে জানিয়েছেন, অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সাথে, জঙ্গিরা কোনওকিছু বুঝে ওঠার আগেই সাধারণ বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

এদিকে সেখানে জঙ্গিরা একের পর এক গ্রেনেড ছুড়ে মারছে। মৌলভীবাজার পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন- দুটি, আস্তানাতেই জঙ্গিরা অবস্থান নিয়েছে। পুলিশ রাত থেকেই আস্তানা দুটি ঘেরাও করে রাখে। ভোররাতের দিকে অভিযান শুরু করলে জঙ্গিরা গুলি করতে থাকে। একের পর এক গ্রেনেড ছুঁড়েও মারে তারা।

রাশেদুল আরও বলেন, রাত থেকে কৌশলে আমরা এলাকাবাসীকে সরিয়ে নিতে পেরেছি। এখন জঙ্গিদের কব্জা করার সকল চেষ্টা চলছে। জঙ্গিরা যতই গ্রেনেড ছুড়ুক, পুলিশ তাদের ছাড়বে না, ঘোষণা দেন এই সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা।

অভিযানের অংশ হিসেবে বড়হাট ও আশপাশের এলাকার গ্যাস এবং সরকার বাজার এলাকার গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বাড়ি দুটির মালিক সাইফুর সাব্বির  ও আতব্বর মিয়া নামের দুই ব্যক্তি। তারা একই পরিবারের সদস্য এবং দুজনেই লন্ডন প্রবাসী। দুই বাড়ির দূরত্ব ১৮ কিলোমিটারের মত।

এদিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়িতে আতিয়া মহল নামের এক বাড়ি ঘিরে গত ২৩ মার্চ গভীর রাতে একইভাবে অভিযান শুরু করেছিল পুলিশ। পরে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোরা শনিবার সকালে শুরু করে চূড়ান্ত অভিযান- ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’।

ওই অভিযান শেষে আতিয়া মহলের ভেতরে এক নারীসহ চার জঙ্গির লাশ পাওয়া যায়। এর মধ্যেই ওই বাড়ির এক কিলোমিটারের ভেতরে জোড়া বিস্ফোরণে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয়জন।

মঙ্গলবার রাতে সেনাবাহিনী অভিযান সমাপ্ত ঘোষণার পর ১২ ঘণ্টা পার না হতেই পাশের জেলা মৌলভীবাজারে নতুন অভিযান শুরু হল।

মৌলভীবাজারে জঙ্গিদের হাতে বিপুল অস্ত্র বিস্ফোরক

আতিয়া মহলের মতোই মৌলভীবাজার জঙ্গি আস্তানা

কাউকে জিম্মি করতে পারেনি জঙ্গিরা

দুই আস্তানায় এক ডজন জঙ্গি

দুই জঙ্গি আস্তানার বাড়ির মালিক এক লন্ডন প্রবাসী!


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!