• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে ছাত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করলেন শিক্ষক


বরগুনা প্রতিনিধি আগস্ট ১৭, ২০১৯, ১০:২৯ পিএম
ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে ছাত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করলেন শিক্ষক

বরগুনা: বরগুনার আমতলীতে পরীক্ষায় ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় কাঠালিয়া তাজেম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৭ আগস্ট) সকালে আমতলী চৌরাস্তা এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাঠালিয়া তাজেম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শরীর চর্চা বিষয়ের শিক্ষক মো. জহিরুল ইসলাম গাজী ২০১৫ সালের ২২ জুলাই বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর থেকেই তিনি ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। বিষয়টি কয়েকবার প্রধান শিক্ষকের নজরে আনে শিক্ষার্থীরা। প্রধান শিক্ষক এ বিষয়ে তাকে শাসিয়ে দেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে পরীক্ষায় ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে গত ডিসেম্বর মাস থেকে কয়েক দফা ধর্ষণ করেন জহিরুল ইসলাম। এতে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি ওই ছাত্রী শিক্ষক জহিরুল ইসলামকে জানালে তিনি পেটে টিউমার হয়েছে বলে তাকে চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী নিয়ে গর্ভপাত করান।

এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে গত ৩০ জুন জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে স্কুল প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও অভিভাকরা মানববন্ধন করেন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর দাদা বাদী হয়ে গত ১ জুলাই আমতলী থানায় জহিরুল ইসলামকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। জহিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সকাল ১০টার দেক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. ফয়সালের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

আমতলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশার জানান, জহিরুলকে গ্রেফতারের পর আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সোনালীনিউজ/এইচএন

Wordbridge School
Link copied!