• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বঙ্গবন্ধুর ভাষণগুলো পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্তির দাবি


জবি প্রতিনিধি মার্চ ১৮, ২০১৯, ১২:০৯ পিএম
বঙ্গবন্ধুর ভাষণগুলো পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্তির দাবি

ঢাকা : বিভিন্ন স্তরের পাঠ্যসূচীতে জাতির জনকের ভাষণগুলো অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে অন্তভুক্ত করার দাবি করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রত্যেকটি ভাষণই কালজয়ী। তার ৭’ই মার্চের ভাষণ জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিল এবং এ ভাষণকে আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধের মুল মন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছিলাম।

বঙ্গবন্ধুর এমন অনেক ভাষণ আছে, যেখানে একটি জাতির এগিয়ে যাবার জন্য কি করতে হবে, প্রতিবন্ধকতায় কিভাবে উত্তরণ ঘটাতে হবে এমন সকল প্রকার দিক নির্দেশনা দেওয়া আছে। আমি মনে করি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণগুলো বিভিন্ন পর্যায়ের পাঠ্যসুচীতে অন্তর্ভূক্ত করা উচিত।

রোববার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি এবং স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর প্রতিকৃতিতে (ধানমন্ডির ৩২নং সড়কস্থ) বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের উপমহাদেশে আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা বলতে যা বুঝায় তা কখনোই ছিল না। হাজার বছর ধরে বিভিন্ন রাজা, জমিদারি এসব ছিল। সেই আধুনিক রাষ্ট্রের চিন্তাটি বন্ধবন্ধুর। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুই প্রথম বাঙ্গালির জন্য স্বপ্ন দেখেন একটি স্বাধীন, সার্বোভৌম আধুনিক রাষ্ট্রের। বাংলাদেশ জন্মানোর পুরা কৃতিত্বই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। তিনি ধাপে ধাপে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে নির্যাতিত বাঙ্গালি জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এ দেশ একটি স্বাধীন সার্বোভৌম আধুনিক রাষ্ট্রে পরিনত হয়।

বিখ্যাত জার্মান দার্শনিক হেগেল (১৭৭০-১৮৩১) এর উদৃতি দিয়ে উপাচার্য বলেন, পৃথিবীতে মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হচ্ছে রাষ্ট্র তৈরী করা। একটা রাষ্ট্র আর রাষ্ট্রের সার্বোভৌমত্ব সৃষ্টি হলো সেরা সৃষ্টি। এই কারণে বঙ্গবন্ধু এ রাষ্ট্রের জনক, তিনি এই রাষ্ট্র জন্ম দিয়েছেন। আজকে বঙ্গবন্ধুর জন্মের ৯৯ তম বর্ষ পুর্ণ হলো এবং সামনে আসছে জাতির জনকের শততম জন্ম বার্ষিকী। এখন আমাদের কাজ হচ্ছে, বেশি বেশি করে বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করা। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা আর এখন পাকিস্থান সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার সিক্রেট ডকুমেন্টস যেমন 'সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান' শীর্ষক বইগুলো বের হচ্ছে। এগুলো নিয়ে যদি নতুন প্রজন্ম অধ্যায়ন করে, পড়াশুনা করে, নতুন প্রজন্ম তাদের সকল প্রকার দিক নির্দেশনা পেয়ে যাবে। ছাত্র রাজনীতি, জাতীয় রাজনীতিসহ সকল ক্ষেত্রে কি করতে হবে সব দিক নির্দেশনা পেয়ে যাবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. দীপিকা রানী সরকার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নুর মোহাম্মদ, জবি ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. আব্দুল বাকী, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ওয়াহিদুজ্জামান, জবি প্রেসক্লাবের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম প্রমূখ।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে উপাচার্যের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে  জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের পক্ষে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। এছাড়াও, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!