• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বজ্রপাতের সময় যেসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন


লাইফস্টাইল ডেস্ক এপ্রিল ১, ২০১৯, ০৮:২৫ পিএম
বজ্রপাতের সময় যেসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন

ঢাকা: এখন কালবৈশাখীর মৌসুম। থেকে থেকে রোদ আবার কখনও মুষলধারে বৃষ্টি সঙ্গে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত। আর এই বজ্রপাত হয়ে উঠতে পারে প্রাণঘাতী।

প্রকৃতিতে সবচেয়ে দুর্যোগপূর্ণ মাস মার্চ, এপ্রিল, মে এবং জুন। এই কয়েক মাসেই সচরাচর বজ্রবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি, কালবৈশাখী আঘাত হানে। মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখী তাণ্ডবে রোববার (৩১ মার্চ) রাজধানী ঢাকায় গাছচাপা, ইটের আঘাত, দেয়ালচাপা এবং নৌকাডুবিতে দুই নারীসহ আটজনের মৃত্যু হয়েছে।

প্রতিবছর কালবৈশাখী ঝড়ে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বজ্রপাতে অনেক মানুষ মারা যায়। তবে একটু সচেতন হলেই বজ্রপাতের হাত থেকে আপনি প্রাণ বাঁচতে পারেন।

সাধারণত মার্চ থেকে মে এবং অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বজ্রঝড় হয়ে থাকে। বজ্রপাতের সময় পাকাবাড়ির নিচে আশ্রয় নিতে এবং উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের লাইন থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এ সময় জানালা থেকে দূরে থাকার পাশাপাশি ধাতব বস্তু এড়িয়ে চলা, টিভি-ফ্রিজ না ধরা, গাড়ির ভেতর অবস্থান না করা এবং খালি পায়ে না থাকারও পরামর্শ দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

বজ্রপাত কেন হয়?

বায়ুমণ্ডলে বাতাসের তাপমাত্রা ভূ-ভাগের উপরিভাগের তুলনায় কম থাকে। এ অবস্থায় বেশ গরম আবহাওয়া দ্রুত উপরে উঠে গেলে আর্দ্র বায়ুর সংস্পর্শ পায়। তখন গরম আবহাওয়া দ্রুত ঠাণ্ডা হওয়ায় প্রক্রিয়ার মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়ে বজ্রমেঘের সৃষ্টি হয়। তখনই বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। আর এ বজ্রপাতের কারণে প্রায় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থানে হতাহতের ঘটনা ঘটছে।

আসুন জেনে নেই বজ্রপাত থেকে বাঁচতে যা করবেন-

১. ঘন ঘন বজ্রপাতের সময় খোলা বা উঁচু জায়গায় না থেকে দালান বা গাছের নিচে আশ্রয় নিন।

২. বজ্রপাতের সময় ঘরের জানালার কাছে উঁকিঝুঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন। এ সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকুন।

৩. বজ্রপাতের সময় বৈদ্যুতিক সংযোগযুক্ত সব ধরনের যন্ত্রপাতি এড়িয়ে চলুন। যন্ত্রপাতির প্লাগ খুলে রাখুন। টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি বন্ধ করা থাকলেও স্পর্শ করা ঠিক হবে না।

৪. বজ্রপাতের সময় গাড়িতে থাকলে দ্রুত বাড়িতে ফেরার চেষ্টা করুন। যদি প্রচণ্ড বজ্রপাত ও বৃষ্টি হয়, তা হলে গাড়ি কোনো বারান্দা বা পাকা ছাউনির নিচে রেখে অপেক্ষা করুন।

৫. বৃষ্টি হলে রাস্তায় পানি জমতে পারে। অনেক সময় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে সেই পানিতে পড়ে হতে পারে দুর্ঘটনা।

৬. বজ্রপাতের সময় চামড়ার ভেজা জুতা বা খালি পায়ে থাকা খুবই বিপজ্জনক। যদি একান্ত বের হতেই হয়, রবারের গামবুট এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো কাজ করবে।

৭. পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত সেবা পেতে ৯৯৯-এ ফোন করতে পারেন।

বজ্রপাতের সময় রাস্তায় চলাচলেও খেয়াল রাখতে হবে। কেউ আহত হয়ে থাকলে দেরি না করে তাকে হাসপাতালে পাঠানোর চেষ্টা করতে হবে। তবে বিদ্যুৎস্পর্শ কাউকে ঘটনার সময় খালি হাতে স্পর্শ করলে নিজেও ঝুঁকিতে পড়তে হবে।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!