• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বঞ্চনা থেকে আন্দোলন


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৯, ১২:১৮ পিএম
বঞ্চনা থেকে আন্দোলন

ঢাকা : পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠনের পরই দেশের রাষ্ট্রভাষা নিয়ে যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয় পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে, ১৯৪৮ সালের ১৫ মার্চের আন্দোলন সে দ্বন্দ্বকে উসকে দেয়। বাঙালিরা বুঝতে পারে, তাদের দাবি মেনে নিতে চায় না পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী।

১৯ মার্চ ঢাকা আসেন পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। তিনি বাঙালির দাবি, মনের কথা বুঝতে ব্যর্থ হন। বললেন, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। ছাত্ররা তার মুখের ওপর প্রতিবাদ জানাল। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২- এই চার বছর নানা টালবাহানায় বাঙালির দাবিকে উপেক্ষা করে গেছে তৎকালীন পাকিস্তানের শাসকেরা। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ মারা গেলেন, প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানকেও গুলি করে মেরে ফেলা হলো। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হলেন খাজা নাজিমুদ্দিন। তার জায়গায় পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী হলেন মুসলিম লীগের নুরুল আমিন। অনেক বদল হলো, বদলালো না শুধু পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের ভাগ্য। শোষণ, অবিচার আর উপেক্ষায় এ বাংলার আমজনতা ততদিনে বিস্ফোরণের দ্বারপ্রান্তে।

১৯৫২ সালের ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ও মুসলিম লীগের সভাপতি খাজা নাজিমুদ্দিন করাচি থেকে ঢাকা এলেন। পল্টন ময়দানে দাঁড়িয়ে আবার বললেন সেই পুরনো কথা। উদ্ধত ভঙ্গিতে ঘোষণা করলেন— উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।

বাঙালির মনে আগুন জ্বলছিল। এই ঘোষণার পর তা ছড়িয়ে পড়ল। নাজিমুদ্দিনের ঘোষণার পরপরই শুরু হলো বিক্ষোভ, সভা-সমাবেশ, মিছিল। ছাত্ররাই এগিয়ে এলো। স্লোগান তুলল- রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই। এই দাবিতে ৩০ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘট হলো। ভেতরে ভেতরে সবাই প্রস্তুত হলো বড় আন্দোলনে নামার।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!