• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বদলে যাচ্ছে উপকূলীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক চিত্র


এম এ সাইদ খোকন, আমতলী (বরগুনা) নভেম্বর ৮, ২০১৮, ০২:৩৫ পিএম
বদলে যাচ্ছে উপকূলীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক চিত্র

আমতলী (বরগুনা): সরকারের বেশ কয়েকটি অর্থনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নির্মিত হচ্ছে বরগুনায়। এসব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বদলে যাবে বরগুনাসহ উপকূলীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক চিত্র।

বর্তমানে পায়রা এবং বিষখালী নদীর ওপরে দুটি বৃহৎ সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে, তালতলীর নিশান বাড়ীয়ায় কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে, জাহাজ ভাঙ্গা নির্মাণ শিল্প হচ্ছে, নৌবাহিনীর সুবিশাল ঘাঁটিসহ ব্যাপক উন্নয়নে এখানে অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।

জানা গেছে- বর্তমান সরকারের পরিকল্পিত উন্নয়নে বরগুনার মানুষ আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে। অবহেলিত এই জনপদে বইছে উন্নয়নের হাওয়া। বিশেষ করে বরগুনার তালতলীতে সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র।
সম্প্রতি জাহাজ ভাঙ্গা নির্মাণ শিল্পর জন্য বরগুনার তালতলীতে পায়রা নদী সংলগ্ন তালতলীর তেঁতুলবাড়িয়ায় নৌবাহিনী ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব জাহাজ নির্মাণ ও প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ও নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খাঁন ওই প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন। জাহাজ নির্মাণ শিল্প ও প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপনে পর্যটন, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির আকাক্সক্ষায় এলাকার মানুষ আনন্দিত। বরগুনা জেলা প্রশাসক অফিস সূত্রে জানা গেছে, খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড এর সম্প্রসারণের জন্য ১৬২ একর এবং শিপ বিল্ডিং ও শিপ রিসাইক্লিং এর জন্য ১০৫ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে।

বরগুনার তালতলী উপজেলা নিশানবাড়য়িায় কয়লাভিত্তিক ৩৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। পরিবেশ রক্ষায় সবধরনের ব্যবস্থা নিয়ে, আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। চুক্তি অনুযায়ী প্রকল্প এলাকার অধিবাসীদের দেয়া হচ্ছে ক্ষতিপূরণও। এটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে চীনের ‘পাওয়ার চায়না রিসোর্স লিমিটেড’ ও বাংলাদেশের আইসোটেক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘আইসোটেক ইলেট্রিফিকেশন কোম্পানি লিমিটেড।

আইসোটেক গ্রুপের মিডিয়া অ্যাডভাইজার ফিরোজ চৌধুরী জানান, ওই এলাকায় শুধু বিদ্যুৎ প্লান্ট নয়, সেখানে কর্মরতদের ও স্থানীয়দের জন্য ৫০ শয্যার হাসপাতাল হবে। স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা ও মন্দির করা হবে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে সাড়ে তিন হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

আইসোটেক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মঈনুল আলম জানান, ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বিদ্যুৎ একটি প্রধান উপাদান। পরিবেশের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেদিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বৈদেশিক অর্থায়নে নির্মিত হওয়ায় নিয়মনীতির ব্যত্যয় ঘটার সুযোগ নেই এ প্রকল্পে এ দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ব্যাপক শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র বিন্দুতে রূপ নেবে বরগুনা অঞ্চল। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা আসবেন এখানে বিনিয়োগ করতে।

জাহাজ ভাঙ্গা নির্মাণ শিল্প ও কযলা ভিত্তিক বিদুত উৎপাদন কেন্দ্র চালু হলে উপকৃত হবেন বরগুনা জেলার বাসিন্দারা। অবহেলিত এ জেলাটি দেশের অন্যতম অর্থনৈতিক কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হবে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!