• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বন্ধ প্রচারণা, মহারণের অপেক্ষা


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ২৮, ২০১৮, ০৯:১১ এএম
বন্ধ প্রচারণা, মহারণের অপেক্ষা

ঢাকা: আজ (শুক্রবার) সকাল ৮টা থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা বন্ধ হয়েছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ২৯৯টি আসনে টানা ভোটগ্রহণ চলবে। এরপর ভোট গণনা শেষে ফল প্রকাশ করা হবে।

এক প্রার্থীর মৃত্যুজনিত কারণে গাইবান্ধা-৩ আসনে ভোটগ্রহণ পিছিয়ে ২৭ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (আরপিও) অনুযায়ী ভোটগ্রহণ শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে অর্থাৎ ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে ১ জানুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় যেকোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল ও শোভাযাত্রা করা যাবে না।

তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্বাচন সংক্রান্ত প্রচারণা ও বেসরকারি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে এ সম্পর্কিত টকশো বা আলোচনার বিষয়ে ইসি এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা দেয়নি।

এছাড়াও আজ শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে সারাদেশে মোটরসাইকেল চালানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শুক্রবার রাত ১২টা থেকে ১ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত মোট চারদিন এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। তবে শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশন থেকে ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য স্টিকার পাওয়া সাংবাদিকরা মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবেন।

এদিকে আগামীকাল শনিবার মধ্যরাত ১২টা থেকে ভোটের দিন ৩০ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত সব ধরনের যানবাহন চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইসি। যেসব যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা সেগুলো হলো- বেবি টেক্সি, অটোরিকশা, ইজিবাইক, ট্যাক্সি ক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস ট্রাক, টেম্পোসহ স্থানীয় যন্ত্রচালিত যানবাহন।

জানা যায়, যান চলাচলের নিষেধাজ্ঞার সময় রিটানিং কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য। তাছাড়া নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক ও কতিপয় জরুরি কাজ যেমন- অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদির কাজে নিয়োজিত যানবাহন নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।

এছাড়া মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এবার প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ নতুন ভোটার প্রথমবারের মতো জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেবেন। নির্বাচনে সবমিলিয়ে ১ হাজার ৮শ’র বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলের প্রার্থী প্রায় ১ হাজার ৭৫০ জন। বাকিরা স্বতন্ত্র প্রার্থী।

আর মাত্র একদিনের অপেক্ষা। দেশে ভোট নিয়ে মহারণ আসন্ন। এরই প্রস্তুতি চলছে রাজনৈতিক দলগুলোয়। প্রচারেও আভাস মিলেছে, ‘কেহ কারে নাহি ছাড়ে, সমানে সমান’ লড়াইয়ের। মাসখানেক ধরে চলা নির্বাচনী উত্তেজনায় সব দলের অংশগ্রহণে অত্যাসন্ন এ মহারণে কোন জোট জয়ী হবে? তা দেখার অপেক্ষায় এখন মুখিয়ে আছে পুরো জাতি।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!