• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বন্ধু মাশরাফির জন্য ছুটে চলেছেন সৈয়দ রাসেল


ক্রীড়া প্রতিবেদক ডিসেম্বর ২৬, ২০১৮, ০৬:১৮ পিএম
বন্ধু মাশরাফির জন্য ছুটে চলেছেন সৈয়দ রাসেল

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: নাওয়া খাওয়া ভুলে ভোটের মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থার প্রতিদান দিতে হবে যে। এলাকার ভোটাররা সগৌরবে ঘোষণা করে দিচ্ছেন, তারা মাশরাফি বিন মুর্তজাকে সর্বোচ্চ ভোটে বিজয়ী করবেন। মানে গোটা দেশের মধ্যে যাতে নড়াইল এক্সপ্রেস সবচেয়ে বেশি ভোট পান।

ক্রিকেট মাঠে ভাঙা হাঁটু নিয়ে খেলে চলেছেন ১৭ বছর ধরে। সাত বার অপারেশন করিয়েছেন। এখনও বল করার সময় বারবার ব্যান্ডেজে হাত রাখেন। কিন্তু অদম্য মাশরাফি কখনও দমেননি। দেশের জন্য শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই চালিয়ে যান। অনেক নামীদামি ক্রিকেটাররা তো বলেই দিয়েছেন, মাশরাফির মতো অন্য কেউ হলে এতদিনে ক্রিকেট থেকে অবসরে চলে  যেতেন। কিন্তু মাশরাফির প্রবল ইচ্ছার কাছে সব বাঁধা যেন এক ফুৎকারে উড়ে গেছে।

মাঠে নেমেছেন আর বিস্ময় উপহার দিয়েছেন। প্রথম দফায় ছিলেন দুদিনের ক্যাপ্টেন। সেটা ২০০৯ সালের ঘটনা। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে গিয়ে প্রথম টেস্টেই ছিটকে গেলেন। সেই সঙ্গে নেতৃত্বও। এরপর নেতৃত্ব ফিরে পেয়েছেন ২০১৫ বিশ্বকাপের আগে আগে। আর তারপর থেকেই ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ রুপকথা লিখে যাচ্ছে। ঘরে-বাইরে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ এখন সমীহ জাগানো এক দল।

মাঠের বাইরেও মাশরাফিকে বারবার খবরের শিরোনামে এনেছে। নিজের প্রবল ইচ্ছায় নড়াইলে গড়েছেন নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন। গতবার রংপুর রাইডার্সকে চ্যাম্পিয়ন করার মাশরাফির সামনে সুযোগ ছিল ফ্রাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে দামি উপহার নেওয়ার। কিন্তুু মাশরাফি চাইলেন একটি অ্যাম্বুলেন্স। যেটি দেওয়া হয়েছে তাঁর ফাউন্ডেশনে। যেখানে গরিবরা সেবা নিতে পারছেন।

মাশরাফির মানবিকতার এখানেই শেষ নয়। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, অন্তত আড়াইশ-তিন শ বন্ধুর সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ হয়। মাশরাফির বন্ধু তালিকায় জুতো সেলাই করা মুচিও রয়েছে। অনেককে দেন সাহায্য সহযোগিতা।

চোটে পড়ে ২০১০ সাল থেকে জাতীয় দলের বাইরে চলে যান এক সময়কার বাংলাদেশ দলের অপরিহার্য বাঁহাতি পেসার সৈয়দ রাসেল। গুরুতর অসুস্থ হওয়া রাসেল কোথায়ও তেমন সহযোগিতা না পাওয়ায় শরণাপন্ন হয়েছিলেন বন্ধু মাশরাফির। তিনি ‘না’ করেননি। বন্ধুকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে সহযোগিত করেন মাশরাফি। সেরে ওঠেন সৈয়দ রাসেল। পরে রাসেলই এক সাক্ষাৎকারে মাশরাফির কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন। তিনি মাশরাফিকে সেই টাকা পরিশোধও করে দিতে চেয়েছিলেন।

কিন্তু মাশরাফি উল্টো ধমক দিয়ে তাঁকে বারণ করেছেন। সেই বন্ধুই দাঁড়িয়েছেন নির্বাচনে। তাঁর নির্বাচনে না এসে কি থাকা যায়! সৈয়দ রাসেলও পারেননি। মাশরাফির জন্য নড়াইল-২ আসনের পথে-প্রান্তরে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। সত্যি, বন্ধুর জন্যই তো বন্ধু।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!