• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বন্ধুদের সঙ্গে ‘সেক্স’ করতে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকাকে খুন!


নিউজ ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯, ০৯:০৭ পিএম
বন্ধুদের সঙ্গে ‘সেক্স’ করতে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকাকে খুন!

ঢাকা: বন্ধুদের ধর্ষণের সুযোগ না দেয়ায় প্রেমিকা সুমাকে হত্যা করে প্রেমিক। হত্যাকান্ডে সহযোগীতা করে বন্ধু জাহির। দায় স্বীকার করে এভাবেই আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে ঘাতক আলমগীর। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চুনারুঘাট থানার এস.আই জাহাঙ্গীর কবির সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে আলমগীর। ঘটনার দিন প্রেমিক আলমগীরের সাথে দেখা করতে অলিপুর আসে প্রেমিকা সুমা।

এ সময় রঘুনন্দন পাহাড়ে ঘুরতে প্রলোভন দেয় আলমগীর। সরল বিশ্বাসে রাজি হয় সে। এরপর গহীন পাহাড়ে সুমাকে ধর্ষন করে আলমগীর। এক পর্যায়ে বন্ধু জাহিরকে ধর্ষণের সুযোগ দেয়ার প্রস্তাব দেয়। এতে অপারগতা প্রকাশ করে সুমা। শুরু হয় ধস্তা-ধস্তি। এক পর্যায়ে শাড়ির আচঁল গলায় পেছিয়ে সুমাকে হত্যা করে পালিয়ে যায় আলমগীর ও তার বন্ধু জাহির।

ঘাতক আলমগীর হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়নের ডুমরা গ্রামের মীর হোসেনের পুত্র। তার দেয়া দেয়া তথ্যানুযায়ী ঘটনার সাথে জড়িত একই ইউনিয়নের আকদপুর গ্রামের মৃত ধলাই মিয়ার পুত্র জাহির মিয়া (৩৮) কে গ্রেফতার করা হয়। জাহির আলমগীরের বন্ধু। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার ওসি কে.এম আজমিরুজ্জামান জানান, কললিষ্টের সূত্র ধরে বেশ কয়েকজনের নাম ইতিমধ্যেই সনাক্ত করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এসব আসামীদের নাম বলা যাচ্ছেনা।

হত্যার ৩৯ দিনের মধ্যে রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, অল্প সময়ের মধ্যেই জড়িত অন্য আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য, বাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের বাদল সরকারের সাথে বিয়ে হয় সুমার। তার ৩ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

স্বামী বাদল সরকারে সাথে বনি-বনা না হওয়ায় ৭ মাস পূর্বে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার পুরাসুন্দা গ্রামস্থ পিত্রালয়ে ফিরে আসে সে। এরই মাঝে সুমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে আলমগীরের। গত ৪ জানুয়ারী পিত্রালয় থেকে নিখোঁজ হয় সুমা।

পরদিন ৫ জানুয়ারি চুনারুঘাট উপজেলার রঘুনন্দন পাহাড়ের মাধপুর সীমান্তবর্তী এলাকার রতনপুর কবরস্থান সংলগ্ন বেত বাগানের ভেতর থেকে সুমার লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।

এরপর ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে লাশটি আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে হবিগঞ্জ শহরের রাজনগর কবরস্থানে দাফন করা হয়। দাফনের ১০ দিন পর চুনারুঘাট থানায় ছবি দেখে সুমাকে সনাক্ত করেন তার পিতা।

১০ জানুয়ারি সুমার মা সন্ধ্যা রানী সরকার আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর আদালতের নির্দেশে সুমার লাশ কবর থেকে উঠিয়ে ধর্মীয় রীতিতে সৎকার করা হয়।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!