• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বন্ধুর স্ত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও পর্নোসাইটে বিক্রি, ভারতে পালাতে গিয়ে গ্রেফতার


নিউজ ডেস্ক অক্টোবর ২০, ২০২০, ০৩:৫২ পিএম
বন্ধুর স্ত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও পর্নোসাইটে বিক্রি, ভারতে পালাতে গিয়ে গ্রেফতার

আলোচিত সেই গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বন্ধুর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত এক আসামিকে সীমান্তবর্তী বান্দরবান থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার আসামি হলেন কাপাসিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য ব্যবসায়ী খাইরুল আলম সবুজ। তিনি কাপাসিয়ার সাফাইশ্রী গ্রামের মৃত শুক্কুর আলীর ছেলে বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ অনেক অভিযোগ রয়েছে।

কাপাসিয়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার ধর্ষণ মামলার আসামি খাইরুল আলম সবুজ ভারতে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশে বান্দরবানে অবস্থান করছেন, গোপন সংবাদের মাধ্যমে এ খবর জানতে পেরে বান্দরবানে একটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত আসামি খাইরুল আলম সবুজের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেছি। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, দলিল লেখক মাহফুজুর রহমান রাসেল মোল্লার সহকারী হিসেবে কাজ করতেন সাফাইশ্রী গ্রামের এক ব্যক্তি। ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে রাসেল মোল্লা ওই ব্যক্তির বাড়িতে যান। ওই ব্যক্তি বাড়িতে না থাকার সুযোগে তার স্ত্রীকে জোর করে ধর্ষণ করেন রাসেল মোল্লা। এ দৃশ্য রাসেল মোল্লা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন। পরে ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে রাসেলের দুই বন্ধু সবুজ ও সোহেলকে নিয়ে প্রায়ই তারা ওই নারীকে ধর্ষণ করতেন। 

মামলায় আরও বলা হয়, গত ২২ জুলাই খাইরুল ইসলাম সবুজ ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি ওই নারীর স্বামী জেনে যান। এনিয়ে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। স্ত্রীর বাড়ির লোকজনকে ডেকে এনে তার স্বামী সংসার ভাঙার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। গত ২৪ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে অভিযুক্ত ধর্ষণকারী রাসেল মোল্লা, সবুজ ও সোহেল ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে ওই নারী ও তার স্বামীকে গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে অস্ত্র দেখিয়ে তাদের হত্যার চেষ্টা করেন। পরে ওই নারী এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কাপাসিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

অপরদিকে অভিযুক্ত ধর্ষণকারী রাসেল মোল্লা, সবুজ ও সোহেল ওই নারীকে ধর্ষণ করার ভিডিও বিদেশি কয়েকটি পর্নোসাইটে আপলোড করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। পর্নোসাইটে ধর্ষণের ভিডিও আপলোড করার অভিযোগ এনে গাজীপুর আদালতে ওই নারী বাদী হয়ে পর্নোগ্রাফি আইন ২০১২-এর ৮(১) এবং প্যানেল কোট ৪৪৮/৫০৬ ধারার মামলা দায়ের করেন।

ধর্ষণের শিকার ওই নারীর স্বামী অভিযোগ করে বলেন, রাসেল মোল্লা, সবুজ ও সোহেল মিলে তার স্ত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও আন্তর্জাতিক কয়েকটি পর্নোগ্রাফি সাইটে বিক্রি করে দেন। ইন্দোনেশিয়া ও ভারতের এসব পর্নোসাইটে ধর্ষণের ভিডিও এখন সবার হাতে হাতে। 

তিনি বলেন, বিদেশি অনলাইন সার্ভার এনজিইবিওকেইপি নামের সার্ভারের ওয়েব সাইট টিআইএনওয়াইইউআরএল ডটকম এবং আন্তর্জাতিক কয়েকটি পর্নোসাইটে ধর্ষণের ভিডিও আপলোড করা হয়। 

ধর্ষণকারী আসামি রাসেল মোল্লার বাবা মফিজ উদ্দিন মোল্লা, আসামি সবুজের ব্যবসার ম্যানেজার দুলালসহ অন্যরা নানাভাবে আমাকে ও আমার স্ত্রীর আত্মীয়স্বজনদের হুমকি দিচ্ছে।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!