• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশ থেকেই নতুন দিনের স্বপ্ন দেখছে জিম্বাবুয়ে


ক্রীড়া প্রতিবেদক নভেম্বর ৬, ২০১৮, ০৬:১৮ পিএম
বাংলাদেশ থেকেই নতুন দিনের স্বপ্ন দেখছে জিম্বাবুয়ে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ক্রিকেটের তিন সংস্করণে টানা ১৯ ম্যাচ হেরে তারপর জিতল জিম্বাবুয়ে। সবশেষ ১৩ ওয়ানডের একটিতেও জয় আসেনি। আর টেস্টে জয়হীন কাটাতে হয়েছে গত পাঁচ বছর ধরে। বাংলাদেশ দল জিম্বাবুয়েকে জয় উপহার দিয়ে তাদের ক্রিকেটে বড় একটা উপকারই করে দিল। জিম্বাবুয়ের এই দলটি যে জয় কি জিনিস সেটাই ভুলতে বসেছিল।

২০০১ সালে চট্টগ্রাম টেস্টের ১৭ বছর পর এবার সিলেটে জিতল জিম্বাবুয়ে। এর মাঝে বিদেশে আর কোনো টেস্ট জেতেনি দলটি। জিম্বাবুয়ে বিদেশের মাটিতে জিতেছেই তিনটি টেস্ট। এর দুটিই বাংলাদেশের বিপক্ষে। অন্যটি বিশ্বকে চমকে দিয়ে ১৯৯৮ সালে পেশোয়ারে পাকিস্তানকে ৭ উইকেট হারিয়েছিল জিম্বাবুয়ে।

তারপর ভাঙাগড়ার মধ্যে দিয়ে গেছে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট। এখনও দলটি কোমর সোজা করে উঠে দাঁড়াতে পারেনি। টেস্ট সিরিজের আগে বাংলাদেশের বিপক্ষেই ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। সেই তারাই বাংলাদেশকে টেস্টে সাড়ে তিনদিনেই হারিয়ে দিল। কী অবাক কাণ্ড! এখনও অনেকেরই বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে জিম্বাবুয়ের ভারতীয় কোচ লালচাঁদ রাজপুত এসে জানালেন তিনি খুব খুশি।

তাঁর ভাষায়, ‘সবাই জানেন ভারতে দীপাবলি কত বড় একটা উৎসব। আমিও ছেলেদের বলেছিলাম যেহেতু আজ দীপাবলি, আমার জন্য সেরা উপহার হতে পারে এই টেস্টে জয়। তারা দারুণভাবে তা করে দেখাল। বছরের পর বছর ধরে জিম্বাবুয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ভালো করছিল না। তাদের নিজেদেরও সমস্যা ছিল। কিন্তু একবার জিতে গেলেই সব সমস্যা একপাশে সরিয়ে রাখা যায়। এই জয়টা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জিতলে ড্রেসিংরুমের আবহই বদলে যায়। আমি নিশ্চিত খেলোয়াড়দের, দলের আত্মবিশ্বাসও এখন তুঙ্গে থাকবে। আমরা এখন এখান থেকে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।’

দুই টেস্টের সিরিজে একটা বিষয় নিশ্চিত হয়েছে যে জিম্বাবুয়ে আর সিরিজ হারছে না। রাজপুত বাংলাদেশ থেকেই জিম্বাবুয়ের নতুন দিনের স্বপ্ন দেখছেন, ‘বাংলাদেশের বিপক্ষে জেতাটাও অনেক বড় ব্যাপার। এখানে অনেক বড় বড় টেস্ট খেলুড়ে দেশকেও ভুগতে হয়েছে। বাংলাদেশকে হারাতে ঘাম ঝরাতে হয়েছে। আমাদের জন্য এটা অনেক বড় জয়।

মানসিকভাবে তো অবশ্যই। এটা অবশ্যই জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটকে জাগিয়ে তুলবে। আমাদের মনে এই ভয় ঢুকে গিয়েছিল, দেশেই যেখানে জিততে পারি না, বিদেশের মাটিতে কী করে জিতব। এটা ছিল আমাদের প্রথম পদক্ষেপ সেই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসার, এখান থেকেই ছুটতে হবে।' মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ১১ নভেম্বর। সেই টেস্টেও যে জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশকে চেপে ধরার চেষ্টা করবে সেটা বলাই বাহুল্য।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!