• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কমান্ড গঠন


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ৩, ২০১৮, ১২:২৬ পিএম
বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কমান্ড গঠন

ঢাকা : আজ ৩ ডিসেম্বর। মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। চূড়ান্ত পর্বের ইতিহাস শুরু হয় একাত্তরের আজকের এই দিনে। এদিনেই ঘটে একের পর এক নাটকীয় ঘটনা। একদিকে দেশের নানা জায়গায় মুক্তিবাহিনীর হামলায় পাকিস্তানি হানাদাররা দিশাহারা হয়ে পড়তে শুরু করে। অন্যদিকে ভারতীয় পূর্বাঞ্চল কমান্ডের লে. জে. জগজিৎ সিং অরোরার অধিনায়কত্বে ঘোষিত হয় বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কমান্ড।

গভীর রাতেই মিত্রবাহিনী অবরুদ্ধ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মুক্ত এলাকায় অবস্থিত মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয়। দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মরণপণ যুদ্ধরত বাংলাদেশের সশস্ত্র ও মুক্তিবাহিনীর সহায়তায় মিত্রবাহিনীর নবম ডিভিশন বাংলাদেশে প্রবেশ করে একাত্তরের আজকের দিনে। যশোর, কুষ্টিয়া, দিনাজপুর জেলার কয়েকটি থানা মুক্তিবাহিনীর দখলে চলে আসে। এদিন বিকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কলকাতার এক জনসভায় ভাষণদানকালে ভারতের বিমানবাহিনীর স্থাপনা ও রাডার স্টেশনগুলোতে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। ভারতে জারি হয় জরুরি আইন। সেদিন জাতির উদ্দেশে ভাষণে ইন্দিরা গান্ধী বলেন, আজ বাংলাদেশের যুদ্ধ ভারতের যুদ্ধে পরিণত হয়েছে। যুদ্ধ মোকাবেলায় দেশকে তৈরি করা ছাড়া আমাদের আর কোনো বিকল্প নেই।

এরপর বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কমান্ড দুর্বার বেগে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার চূড়ান্ত লড়াইয়ে। চতুর্দিক থেকে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর আক্রমণ শুরু করে যৌথ বাহিনী।

ভারতীয় নৌবাহিনী বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী সব পাক অধিকৃত বন্দর অবরোধ করে জলপথে সরবরাহ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়। আক্রমণের প্রথমেই হানাদার বাহিনীর সাবমেরিন গাজীকে বঙ্গোপসাগরে সলিল সমাধি ঘটায়। পাকিস্তান এয়ারলাইনস পূর্ব ও পশ্চিম অংশের মধ্যে সব ফ্লাইট বাতিল করে। সামরিক কর্তৃপক্ষ সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত ঢাকায় সান্ধ্য আইন জারি ও নিষ্প্রদীপ ব্যবস্থা পালনের নির্দেশ দেয়। এদিন ১১ নম্বর সেক্টরের মুক্তিবাহিনী কামালপুর বিওপি আক্রমণের প্রস্তুতি গ্রহণ করে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!