• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘বাংলাদেশ-ভারত সু-প্রতিবেশী’


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ১১, ২০১৯, ০৩:৫৩ পিএম
‘বাংলাদেশ-ভারত সু-প্রতিবেশী’

ঢাকা: বাংলাদেশ-ভারত মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিশ্ববাসীর সম্মুখে সু-প্রতিবেশী সুলভ সম্পর্কের দৃষ্টান্তরূপে পরিগণিত হচ্ছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অন্যদিকে বাংলাদেশের উন্নয়ন ভারতের জন্য খুশি ও প্রেরণার উল্লেখ করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘বিগত পাঁচ বছরের মতো আগামী পাঁচ বছরও দুই দেশের সম্পর্ক আরো উচ্চতায় পৌঁছাবে।’

সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী নিজ নিজ কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সে চারটি প্রকল্প যৌথভাবে উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন। চার প্রকল্পের একটিতে বিআরটিসিকে ১১০০ বাস-ট্রাক সরবরাহ করবে ভারত।

বাংলাদেশের মাটিতে কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনকে আশ্রয় দেওয়া হবে না বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের প্রতি আমাদের জিরো টলারেন্স অব্যাহত থাকবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘নতুন ও অপ্রচলিত খাত যেমন ব্লু ইকোনমি ও মেরিটাইম, পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, মহাকাশ গবেষণা, ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ রপ্তানি, সাইবার সিকিউরিটি প্রভৃতি খাতে উভয় দেশ সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করেছে। এসব বহুমুখী ও বহুমাত্রিক সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।’

দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ভারত সরকারের অনুদানে তৈরি জামালপুর, শেরপুর, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন করেন।

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া পৌরসভায় ১১টি পানি শোধনাগার এবং বাংলাদেশে সার্কের ন্যাশনাল নলেজ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ প্রকল্পও উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি। নরেন্দ্র মোদি আশা প্রকাশ করেন, উদ্বোধন করা প্রকল্পগুলো জনজীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাবের জন্য পরস্পরকে ধন্যবাদ জানান। ভারতের কাশ্মিরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এসময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!