• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখিয়ে নাইম-আফিফের বিদায়


ক্রীড়া ডেস্ক নভেম্বর ১০, ২০১৯, ১০:৫৯ পিএম
বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখিয়ে নাইম-আফিফের বিদায়

ঢাকা: নাগপুরে বাংলাদেশকে জয়ের জন্য ১৭৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে স্বাগতিক ভারত। এই রান টপকে জেতা অবশ্যই কঠিন। আবার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে উইকেট হাতে রেখে চালিয়ে খেলতে পারলে লক্ষ্য টপকানো অসম্ভবও নয়।  আগে বোলিং বেছে নিয়ে শুরুর ফায়দা তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারের তিন নম্বর বলেই ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে পরিস্কার বোল্ড করেছেন শফিউল। আগের ম্যাচে বাংলাদেশকে ভোগানো রোহিতকে ফিরতে হয়েছে ২ রানে। ষষ্ঠ ওভারে এসে শফিউলই ফিরিয়েছেন আরেক ওপেনার শিখর ধাওয়ানকে। ছক্কা মারতে গিয়ে তিনি ধরা পড়েন

মাহমুদউল্লাহর হাতে। তার আগে ধাওয়ানের ব্যাট থেকে এসেছে ১৬ বলে ১৯। এরপর বাংলাদেশি বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দেন লোকেশ রাহুল। তাঁকে ফিরিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনেছেন আল-আমিন হোসেন। অবশ্য তার আগেই তিনি ফিফটি তুলে নিয়েছেন। ৩৫ বলে সাত চারের সাহায্যে খেলেছেন ৫২ রানের ইনিংস।

রাহুল বিদায় নিলে তাঁর কাজটা করে দিয়ে যান শ্রেয়াস আইয়ার। আফিফ হোসেনকে পরপর তিন বলে তিন ছক্কা মেরে ফিফটি পার করেন। শেষ অবধি তাঁকে ফেরান সৌম্য সরকার। তার আগে শ্রেয়াস আইয়ার ৩৩ বলে খেলেছেন ৬২ রানের ইনিংস। শেষ দিকে ১৩ বলে ২২ করেছেন মণিশ পাণ্ডে ২২ করলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৪ রান তোলে ভারত। আমিনুল ইসলাম দুটো লোপ্পা ক্যাচ মিস না করলে রানটা আরও একটু কমতে পারত। বল হাতেও তিনি সফল হতে পারেননি। ৩২ রানে শফিউল এবং সৌম্য ২৯ রানে নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। আল আমিন ১টি উইকেট পেয়েছেন ২২ রান দিয়ে।  

জয়ের জন্য ব্যাট করতে নেমে আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়। দুই বলের ব্যবধানে নেই মোহাম্মদ মিঠুন ও মুশফিকু রহিমের উইকেট। ভরসা তরুণ নাইমের ব্যাট। জাতীয় দলের এই ২০ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান ভারতের মাঠে ব্যাটিং তাণ্ডব চালাচ্ছেন। তার ব্যাটেই জয় দেখছেন টাইগার সমর্থকরা।

মাত্র ১২ রানে লিটন দাস ও সৌম্য সরকারের উইকেট হারিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয়ে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেই অবস্থা থেকে দলকে টেনে তুলেন তরুণ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নাইম শেখ। তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে গড়েন ৯৮ রানের জুটি। তাদের জুটিতে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে বাংলাদেশ। এরপর খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। পরপর দুই বলে দুই উইকেট নেই। ২৯ বলে ২৭ রান করে দিপক চাহারের তৃতীয় শিকার মিঠুন। ব্যাটিংয়ে নেমে কিছু বুঝে ওঠার আগেই শিবম দুবের গতির বলে স্ট্যাম্প ভেঙে যায় মুশফিকুর রহিমের।

দিল্লিতে ৬০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে জয় উপহার দেয়া মুশফিক আজ ফেরেন শূন্য রানে। তার বিদায়ে ১৩.১ ওভারে ১১০ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে অসাধারণ ব্যাটিং করেন নাইম। ১৭৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর তাড়া করতে নেমে মাত্র ১২ রানে লিটন-সৌম্যর উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যাওয়া দলকে গর্ত থেকে টেনে তুলেন নাইম।

তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে অনবদ্য জুটি গড়েন। আর এই জুটিতেই ৩৪ বলে ৭টি চার ও একটি ছক্কায় ক্যারিয়ারের তৃতীয় ম্যাচে প্রথম ফিফটি করেন নাইম। ভারতের মাঠেই চলতি সিরিজে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় মোহাম্মদ নাইম শেখের। তরুণ এ ওপেনার এশিয়ার অনতম্য সেরা দলের বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। দিল্লিতে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ম্যাচে ২৮ বলে ২৬ রান করে দলের জয়ের পথ সহজ করে দেন। রাজকোটে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে লিটন দাসের সঙ্গে উড়ন্ত সূচনা করেন।

সেই ম্যাচে উদ্বোধনীতে লিটনের সঙ্গে গড়েন ৬০ রানের জুটি। ২৯ রান করে লিটন আউট হলেও ব্যাটিং চালিয়ে যান ২০ বছর বয়সী তরুণ এ ব্যাটসম্যান। দলীয় ৮৩ রানে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে ৩১ বলে ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে করেন ৩৬ রান। আগের দুই ম্যাচে ২৬ ও ৩৬ রান করা নাইম, আজ অসাধারণ ব্যাটিং করেন। ইতিমধ্যে ৪৭ বলে ১০টি চার ও দুই ছক্কায় ৮১ রান করে অপরাজিত আছেন। বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ১৫ ওভারে ১২৫ রান। জয়ের জন্য শেষ ৩০ বলে প্রয়োজন ৫০ রান। তরুণ এই নাইমের ব্যাটেই জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ।

কিন্তু ৮১ ফিরে যান এই তরুণ। এরপরে ক্রিজে এসেই বিদায় নেন আফিফ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১৬ ওভারে ৬ উইকেটে ১২৬ রান করেছে বাংলাদেশ।  

বাংলাদেশ একাদশ : লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ নাঈম, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ  (অধিনায়ক), মোহাম্মদ মিঠুন, আফিফ হোসেন, আমিনুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, আল আমিন হোসেন, শফিউল ইসলাম।

ভারত একাদশ : রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, লোকেশ রাহুল, শ্রেয়াস আয়ার, ঋষভ পন্থ, শিভাম দুবে, মনিশ পাণ্ডে, ওয়াশিংটন সুন্দর, যুবেন্দ্র চাহাল, দীপক চাহার, খলিল আহমেদ।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!