• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ

বাংলাদেশকে হারানো অথর্বের করুণ জীবন


ক্রীড়া ডেস্ক সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯, ০১:৩১ পিএম
বাংলাদেশকে হারানো অথর্বের করুণ জীবন

ট্রপি হতে অথর্ব পাশে মা

ঢাকা :অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে বাংলাদশকে পাঁচ রানে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে ভারত। ওই ম্যাচে ভারতের জয়ের নায়ক ছিল বাঁহাতি স্পিনার অথর্ব আনকোলেকর। তবে তরুণ এ স্পিনারের এতদূরে আসার গল্পটা মসৃণ নয়। মা বৈদেহী বাস কন্ডাক্টরের কাজ করে আনকোলেকরকে এতদূর এনেছেন।

অথর্বের বয়স যখন মাত্র দশ বছর তখন পৃথিবী ছেড়ে চলে যান তাঁর বাবা বিনোদ আনকোলেকর। অথর্বের ভাইও তখন খুব ছোট। সংসার চালানোর জন্য তার মা বৈদেহী বেছে নেন বাস কন্ডাক্টরের কাজ। কলম্বোর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে অথর্ব আনকোলেকরকে ম্যাচসেরার ট্রফি জিতত দেখে নিজেকে আর সামলাতে পারেননি মা বৈদেহী। ছেলের এমন সাফল্যের দিনে তাঁর মনে পড়ে যাচ্ছিল অথর্বের বাবার কথা।

অর্থবের গর্বিত মা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আজ ওর বাবা যদি থাকতেন, তা হলে খুব খুশি হতেন। অথর্বের জন্য আজ আমরা সবাই গর্বিত।’ ছেলের খেলা দেখার জন্য শনিবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন করেছিলেন বৈদেহী। ছুটি মঞ্জুরও হয়। বাড়িতে ফিরে দেখেন যে চ্যানেল এশিয়া কাপ ফাইনাল ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করছে, সে চ্যানেলটিই দেখা যায় না। বাধ্য হয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বসে ছেলের এশিয়া জয় দেখেন বৈদেহী।

আর্থিক অবস্থা ভাল না অথর্বদের। ছোট ভাইও ক্রিকেট খেলে মুম্বাইয়ের অনূর্ধ্ব ১৪ দলে। ছোট ভাইয়ের ক্রিকেটার হওয়ার জন্য অথর্বকে কঠিন লড়াই করতে হয়েছে। ক্রিকেট কিট কেনার মতো অবস্থা ছিল না। জুতো কেনারও ক্ষমতা ছিল না তাঁদের। বৈদেহী বলছিলেন, ‘ওর জুতা কেনার মতো টাকা আমাদের ছিল না। অন্যরা সাহায্য করতেন। কয়েক দিন আগে অথর্ব ফোন করে আমাকে বলল, ভাইয়ের জন্য জুতা কেনার দরকার নেই। শ্রীলঙ্কায় প্রতি দিন যে টাকা পেয়েছে, তা দিয়ে ভাইয়ের জন্য সে জুতা কিনে দেবে।’

কঠিন ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়ে এশিয়াসেরা হওয়ায় ভারতে এখন খুশির উৎসব। দলকে চ্যাম্পিয়ন করলেও ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত মা। তিনি বলছিলেন, ‘ভাল চাকরি পেলে আমার চিন্তা কাটবে। আজকের দিনে চাকরি খুব দরকার। একটা চাকরির প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু, অনূর্ধ্ব- ১৯ দলের হয়ে খেলা থাকায় সেই চাকরি ফিরিয়ে দিতে হয়।’ তবে অথর্বের পাখির চোখ টিম ইন্ডিয়ার জার্সি। আর তার জন্য চাই কঠোর পরিশ্রম। জীবনযুদ্ধে জয়ী তরুণের কাছে এটা কঠিন হবে না।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!