• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশকে ৩১ হারিয়ে সিরিজে টিকে থাকল জিম্বাবুয়ে


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ২০, ২০১৬, ০৭:২১ পিএম
বাংলাদেশকে ৩১ হারিয়ে সিরিজে টিকে থাকল জিম্বাবুয়ে

সোনালীনিউজ স্পোর্টস ডেস্ক
তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকদের ৩১ রানে হারিয়ে সিরিজে টিকে থাকল জিম্বাবুয়ে।
জিততে হলে নিজেদের ছাড়িয়ে যেতে হতো মাশরাফিদের। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে জিম্বাবুয়ে করেছিল ৬ উইকেটে ১৮৭। টি-টোয়েন্টিতে ১৬৪ রানের বেশি তাড়া করে আগে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। পারল না এবারও। ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকরা যেতে পেরেছে ১৫৬ পর্যন্ত।
রান তাড়ায় বাংলাদেশ পথ হারায় মাঝের সময়টাতে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দারুণ কিছুর সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন সৌম্য সরকার ও সাব্বির রহমান। শেষ দিকে নিজের সামর্থ্য জানান দেওয়া ইনিংস খেলেন নুরুল হাসান। কিন্তু মাঝের ঘাটতি পুষিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি।
রান তাড়ায় বাংলাদেশের শুরুটাই ছিল হোঁচট খেয়ে। সামনে বড় লক্ষ্য বলেই কিনা, প্রথম ওভারেই বাঁহাতি স্পিনার টেন্ডাই চিসোরো উড়িয়ে মারতে গেলেন ইমরুল কায়েস, লাইন মিস করে হলেন বোল্ড।
সৌম্য ও সাব্বিরের জুটি অবশ্য দ্রুতই ভুলিয়ে দেয় সেটি। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৭ ওভারে ৬৭ রানের জুটি গড়েন দুইজন। তবে আরও একবার ভালো শুরুটাকে বড় ইনিংসে রূপ দিতে পারেননি সৌম্য। ক্যাচ হয়েছেন গ্রায়েম ক্রেমারকে স্লগ সুইপে আকাশে তুলে (২১ বলে ২৫)।
এই জুটি ভাঙার পরই বাংলাদেশের ইনিংসে ছন্দপতন। সময়ের দাবি মেটাতে পারেননি মোসাদ্দেক হোসেন। অভিষিক্ত তরুণকে রান তাড়ার চাপে চার নম্বরে নামানোর সিদ্ধান্তটি নিয়েও অবশ্য প্রশ্ন তোলা যায়।
সিরিজে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান সাব্বির চেষ্টা করেছে নিজের মত। ৪৬ ও ৪৩ রানের দুটি ইনিংসের পর এবার ছুঁয়েছেন অর্ধশতক। তবে ৩১ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়ার পরের বলেই আউট হয়েছেন সিকান্দার রাজাকে ছক্কা মারতে গিয়ে।
রান-বলের টানাপড়েনে ক্রমশ বাড়তে থাকা চাপের বলি হয়েছেন মোসাদ্দেকও। রাজাকেই রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বল টেনে এনেছেন স্টাম্পে, ১৫ রান করতে বল খেলে ফেলেছেন ১৯টি।
মুশফিক না থাকায় পাঁচে উঠে আসা সাকিবও ব্যর্থ, ক্রেমারকে ছক্কা মারার চেষ্টায় ফিরলেন ১০ বলে ৩ রানে। ওই ওভারেও ক্রেমার ফেরান মাহমুদউল্লাহকে (৬)।
বাকি সময়টায় উদ্ভাবনী শট ও ক্রিকেট শটের সমন্বয়ে ১৭ বলে অপরাজিত ৩০ রানের দারুণ ইনিংস খেলেছেন নুরুল। ১৫ বলে অপরাজিত ১৯ করেছেন অভিষিক্ত মুক্তার। ৩১ বলে ৪৯ রানের জুটি গড়েন দুজন। কিন্তু আগের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় যথেষ্ট হয়নি দুই নবীনের প্রচেষ্টা।
বাংলাদেশের হারের ভিত্তি গড়া হয়ে যায় অবশ্য ম্যাচের প্রথম ভাগেই। চার অভিষিক্তের বোলিং আক্রমণ পিষ্ট হয়েছে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের দারুণ ব্যাটিংয়ে। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বোলিং শুরু করিয়েছিলেন ২ অভিষিক্ত আবু হায়দার রনি ও মোহাম্মদ শহীদকে দিয়ে। প্রথম পরিবর্ত বোলারও ছিলেন আরেক অভিষিক্ত পেসার, মুক্তার আলি।
অনভিজ্ঞ বোলিং আক্রমণ পেয়ে জিম্বাবুয়ের শুরুটা ছিল আক্রমণাত্মক। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই আবু হায়দারকে তিনটি চার ও একটি ছক্কা মারেন ভুসি সিবান্দা। পরের ওভারে শহীদের টানা চার বলে বাউন্ডারি মারেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা।
পরের বলটিও ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে হাফভলির মতো, কিন্তু টানা পঞ্চম চারের চেষ্টায় পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন মাসাকাদজা (১৪ বলে ২০)। টি-টোয়েন্টিতে শিকারের খাতা খোলেন শহীদ।
রানের গতি কমেনি দ্বিতীয় উইকেট জুটিতেও। বিপজ্জনক হতে থাকা রিচমন্ড মুতুম্বামিকে ফিরিয়ে (১৪ বলে ২০) আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের ৪০০তম উইকেট পেয়ে যান সাকিব। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন সাকিব। পরের ওভারে দারুণ খেলতে থাকা ভুসি সিবান্দাকেও (৩৩ বলে ৪৪) ফেরান সাকিব।
জোড়া উইকেটেও থমকে যায়নি জিম্বাবুয়ে। ৪২ বলে ৭৪ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন উইলিয়ামস ও ওয়ালার। ৪ ছক্কায় ২৩ বলে ৪৯ করেছেন ওয়ালার। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে উইলিয়ামস করেছেন ২৬ বলে ৩২। শেষ ৫ ওভারে জিম্বাবুয়ে তুলেছে ৫৮ রান।
৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন আবু হায়দার রনি। ৩ ওভারে ৩২ রানে একটি আরেক অভিষিক্ত শহীদ। বাকি দুই অভিষিক্ত মুক্তার ও মোসাদ্দেক বোলিং করলেও মেলেনি উইকেট। ৩২ রানে ৩ উইকেট নেন সাকিব।
বোলাররা এত রান দেওয়ার পর জিম্বাবুয়ের পাহাড় সমান লক্ষ্য পরে আর ছুঁতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
সোনালীনিউজ/ঢাকা

Wordbridge School
Link copied!