• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশিদের মেঘালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯, ০৪:৪৫ পিএম
বাংলাদেশিদের মেঘালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

ঢাকা : মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে কারফিউ জারির পর ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বাংলাদেশিদের। কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়া আচমকা এই বাধায় বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী পর্যটকরা।

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল সীমান্তের ওপারে ভারতের ডাউকি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিরা ভারতে প্রবেশ করে থাকেন। কিন্তু শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বাংলাদেশ থেকে কাউকে মেঘালয়ে প্রবেশ করতে দেয়নি সে দেশের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ভারতের নাগরিকত্ব বিল নিয়ে উত্তেজনার পর মেঘালয় রাজ্যে কারফিউ জারির কারণে বাংলাদেশিদের সে দেশে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে আগে থেকে না জানায় গতকাল সকাল থেকে অনেক পর্যটক তামাবিলে জড়ো হন। বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন থেকে যথাযথ নিয়মে তাদের ছেড়ে দেওয়া হলেও ভারতীয় ইমিগ্রেশন আটকে দেয়। ফলে ভারতের ডাউকি থেকে ফিরে আসতে হয় পর্যটকদের।

সিলেটের তামাবিল দিয়ে ডাউকি হয়ে সাধারণত ভারতের মেঘালয় রাজ্যে বেড়াতে যান বাংলাদেশিরা। গতকাল ছুটির দিন হওয়ায় পর্যটকদের ভিড় ছিল তুলনামূলক বেশি। তবে বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে কারফিউ জারি করা হয়।

শিলংয়ে বেড়াতে যাওয়ার জন্য গতকাল সকালেই স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তামাবিলে হাজির হন কুমিল্লার সাদ উদ্দিন। তিনি বলেন, ডাউকিতে অনেকক্ষণ বসিয়ে রাখার পর ভারতীয় কাস্টমস কর্মকর্তারা আমাদের দেশে ফিরিয়ে দেন। এ ব্যাপারে তারা আগে থেকে কিছু জানায়নি। ফলে আমাদের মতো অনেকেই ভোগান্তিতে পড়েছেন।

সিলেটের তামাবিল কাস্টমসের উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রমজান মিয়া বলেন,  বেলা ১১টা পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে আমরা শতাধিক যাত্রীকে ভারতে যেতে দেই। তবে কিছুক্ষণ পরই তারা ভারতের কাস্টমস থেকে ফিরে আসেন। তাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানান তারা। এর কিছুক্ষণ পর ভারতীয় কাস্টমসের একজন কর্মকর্তা এসে মেঘালয়ের অস্থিরতার কারণে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানান এবং আজকে আর যাত্রী না ছাড়তে আমাদের অনুরোধ করেন।

ভারতের ডাউকি কাস্টমস অফিসের কাস্টমস কর্মকর্তা ডেকলিন রেনজা বলেন, কারফিউয়ের কারণে শিলংয়ে হোটেল-দোকানপাট সব বন্ধ আছে। পর্যটকদের দুর্ভোগ আর নিরাপত্তার কথা ভেবেই তাদের যেতে দিচ্ছি না। পরিস্থিতি শান্ত হলে আবার বাংলাদেশি পর্যটকরা যেতে পরবেন।

উল্লেখ্য, গতকাল তামাবিল দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালেরও ভারতে যাওয়ার কথা ছিল। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার তিনি এ সফর বাতিল করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ভারত সফর বাতিল করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনও।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!