• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ফণী


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ৪, ২০১৯, ০৯:২২ এএম
বাংলাদেশে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ফণী

বাংলাদেশ অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। এটি শনিবার সকালে সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা অঞ্চল দিয়ে প্রবেশ করে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বদিকে অগ্রসর হচ্ছে।

শনিবার আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-৪৩) এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শনিবার সকাল থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে দমকা বাতাস বইছে। সঙ্গে রয়েছে বৃষ্টিও। শনিবার সারাদেশের দুযোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও কাছাকাছি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় আকারে শনিবার সকাল ৬টায় সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা অঞ্চল এবং এদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছিল।

আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে বাংলাদেশের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে এবং রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অনেক স্থানে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

বুলেটিনে বলা হয়েছে, মোংলা ও পায়রা সমুদবন্দরসমূহকে ৭ নম্বর পুনঃ ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেত (পুনঃ) ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর পুনঃ ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৬ নম্বর বিপদ সংকেত (পুনঃ) ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত (পুনঃ) ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৪ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

বুলেটিনে আরও বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার ওড়িশায় তাণ্ডব চালিয়ে ১০০ কিলোমিটার গতিতে ঘূর্ণিঝড় ফণী প্রবেশ করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত দুইটায় খড়গপুর হয়ে হুগলি জেলায় প্রবেশ করে ফণী।

এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় আবহাওয়া অধিদফতরে এক ব্রিফিংয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, শনিবার সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করবে। দেশে ৬ থেকে ১০ ঘণ্টা থাকতে পারে এটি।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!