• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষা করুন, ট্রাম্পকে পেন্টাগন


ইকোনোমিক টাইমস ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৯, ১২:৪৪ এএম
বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষা করুন, ট্রাম্পকে পেন্টাগন

ঢাকা : বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ার এলিয়ট এল এনজেলসহ ছয় প্রভাবশালী কংগ্রেসম্যান। তারা বলেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ‘একনায়কতন্ত্রে’র দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

পাশাপাশি পেন্টাগন থেকেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। আমেরিকার ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কমান্ড প্রধান অ্যাডাম ফিলিফস ডেভিডসন সিনেটের অস্ত্র বিষয়ক কমিটির এক শুনানিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পাম্পেওর উদ্দেশে বলেন, “বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে সময় থাকতে পদক্ষেপ নিন।”

ওই শুনানিতে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ফের ক্ষমতায় এসেছে। এতে জনগণের মাঝে ভিতির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। শেখ হাসিনা একনায়কতন্ত্রী শাসকে পরিণত হচ্ছেন।”

 ৬ কংগ্রেসম্যান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র সুরক্ষায় পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওয়ের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন।

তাতে বাংলাদেশে সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জালিয়াতি, ভোট কারচুপি ও ভোটারদের ওপর নিষ্পেষণের কথা উল্লেখ করা হয়। এলিয়ট এল এনজেলের নিজের ওয়েবসাইটে ওই চিঠি এবং এ সংক্রান্ত বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওয়ের কাছে যে ছয় জন প্রভাবশালী কংগ্রেসম্যান স্বাক্ষরিত চিঠি পাঠানো হয়েছে তাতে স্বাক্ষর করেছেন প্রতিনিধি পরিষদের হাউস কমিটি অন ফরেন অ্যাফেয়ার্সের চেয়ারম্যান প্রতিনিধি এলিয়ট এল এনজেল। প্রতিনিধি মাইকেল টি ম্যাকল (টেক্সাসের রিপাবলিকান)। তিনি কমিটির র‌্যাংকিং মেম্বার। প্রতিনিধি ব্রাড শারমান (ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্রেট)। তিনি এশিয়া প্যাসিফিক সাব কমিটির চেয়ারম্যান। মিশিগানের ডেমোক্রেট দলীয় প্রতিনিধি অ্যান্ডি লেভিন ও মিসৌরি থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান দলের প্রতিনিধি অ্যান ওয়াগনার।

তারা মঙ্গলবার লেখা ওই চিঠিতে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের জন্য যেসব হুমকি তার বিষয়ে দৃষ্টি দিতে। বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জালিয়াতি, অনুপযুক্তভাবে নির্বাচনে কারচুপি ও ভোটারদের দমিয়ে রাখার বিষয়ে যেসব রিপোর্ট পাওয়া গেছে তা জোরালোভাবে তুলে ধরেছেন ওই সদস্যরা।

তারা এসব বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ‘অ্যাকশন’ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এতে বলা হয়, এ বছর আফগানিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডসহ এশিয়ার কিছু দেশে ধারাবাহিকভাবে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহতভাবে যে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে এবং সম্মান দেখিয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহতভাবে প্রদর্শন করে যেতে হবে। আর তা শুরু করতে হবে বাংলাদেশকে দিয়েই। এ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!